সিএনবিডি ডেস্কঃ আজ ২৭ জুলাই (মঙ্গলবার) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পুত্র এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫১তম জন্মদিন। মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালে ২৭ জুলাই ঢাকায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনা দম্পতির ঘরে জন্ম নেন আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রধান কারিগর সজীব ওয়াজেদ জয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ‘জয়’ নাম রাখেন তাঁর নানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯৭৫ সালে স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা ও পরবর্তী রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সময় বাবা-মার সঙ্গে জার্মানিতে অবস্থান করেন জয়। পরে মা শেখ হাসিনার সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে চলে আসেন ভারত। তার ছেলেবেলা ও প্রারম্ভিক পড়াশোনা সেখানেই। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি পান। স্নাতকোত্তর করেন দেশটির হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিষয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াতেই স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তিনি।

২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তাঁদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে নির্বাচিত হন প্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয়। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্লোগানটি যুক্ত হয়, তাঁর নেপথ্যে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর এই দৌহিত্র।

দেশের আইসিটি খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, শিক্ষাগত যোগ্যতা আর পেশাগত কাজের অভিজ্ঞতা-এই দু’য়ের মিশেলেই দেশের আইসিটি খাতের এমন তড়িৎ উন্নতিতে সফল নেতৃত্ব দিতে পেরেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

করোনা পরিস্থিতির কারণে জয়ের জন্মদিন সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজন করা হয়েছে। এদিন বেলা ১১টায় আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটি এ উপলক্ষে একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়। এর বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রসরমান ডিজিটাল প্রযুক্তি: পথিকৃৎ মুজিব হতে সজীব’।

এ ছাড়া বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে যুবলীগ কর্তৃক আয়োজন করা হয় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। বিকেল ৫টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা আয়োজন করেছে কৃষক লীগ।

এছাড়া সারা দেশের মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডাসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে দোয়া-প্রার্থনা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিও পালন করা হয়েছে।

 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *