মো. ইব্রাহিম খলিলঃ ইসরায়েল আসলে দেখতে চেয়েছে তাদের রকেট ধ্বংস করার আয়রনডোমগুলো ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা।এবং ফিলিস্তিন কতটা শক্তিশালী হয়েছে তাও দেখতে চেয়েছে।যদি দেখতো ফিলিস্তিন শক্তিশালী নয় এবং তাদের কেউ সহযোগিতা করছে না সেক্ষেত্রে ইসরাইল যুদ্ধ বিরতিতে যেত না।
আমার মনে হয়,যুদ্ধ বিরতিতে যাওয়া ইসরায়েলের কৌশল। তারা পুনরায় শক্তিশালী হয়ে আবার ঠিকই গাজায় আক্রমণ চালাবে।আমার মনে হয় কিছু মুসলমান রাষ্ট্র এগিয়ে এসে গাজাকে ফিলিস্তিনের অধীনে করে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দাঁড় করাতে যা যা প্রয়োজন তাই করা উচিত।
যুদ্ধে বিরতি, সমযোতা কোনো স্হায়ী সমাধান নয়।ভবিষ্যতে কখনো যদি ইসরায়েল পুরো ফিলিস্তিন দখল করার ক্ষমতা অর্জন করে সেক্ষেত্রে তারা তাই করবে।তাই সময় থাকতে মুসলমানদের আরো যুগোপযোগী ভাবনা ভাবতে হবে।
হামাস যদি রকেট হামলা বা কোনো প্রকার প্রতিরোধ গড়ে না তুলতো তাহলে কিন্তু ইসরায়েল যুদ্ধ বিরতিতে যেত না। এভাবে বার বার মরার চেয়ে একবারেই মরে দেশকে স্বাধীন করা উচিত নয় কি? আমরা যদি ত্রিশ লক্ষ শহিদ না হয়ে যুদ্ধের কিছুদিন পর সমযোতা করতাম তাহলে কি আজও স্বাধীন হতে পারতাম?
মুসলমানরা হলো সহজ- সরল জাতি। তারা একটু শান্তির কথা শুনলে বিগলিত হয়ে যায়। আপাতত শান্তি মুখ্য বিবেচ্য হলেও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটু স্হায়ী রূপরেখা প্রণয়ন করাও ফিলিস্তিন বাসীর কর্তব্য।