আজিজুর রহমান প্রিন্স, টরন্টো, কানাডা: ঈদে কর্মজিবী মানূষের বাড়ী ফেরার চিত্রটি বরাবরই অভিন্ন। স্বজনের সঙ্গে ঈদ করার আনন্দ সকলেরই। ঈদের ছুটিতে গন্তব্যে যাওয়ার বিরম্বনা হয় প্রতি বছর। রেল, সড়ক আর পানি পথে মানূষের ঢল নামে। বহু দুর্ঘটনাও ঘটে। এবার করোনার কারনে চিত্রটি ভিন্ন। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে দুরপাল্লার যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যে যেখানে আছে সেখানেই ঈদ উদযাপনের পরামর্শ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। এই মহামারীতে মানূষের জীবন রক্ষার বিকল্প কোন উপায়ও নেই। আন্তর্জাতিক ভাবেও বিশ্বের সব দেশে সব খানেই একই নিয়ম পালিত হচ্ছে। নিত্য প্রানহানির আতঙ্কে স্থবির হয়ে গেছে পৃথিবী।

করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি এবং মৃত্যু হার বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশেও চলছে লক ডাউন। পবিত্র রমজান মাসে দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে সকলের দাবীর মুখে স্বাস্থবিধি মেনে দোকান খোলার অনুমুতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু নিয়ম মানা হচ্ছেনা কোনখানেই। ক্রেতাদের ভির দেখে মনে হয় জীবন নয় নতুন পোশাকই জরুরী। ছুটি পেয়ে ঘরমূখী মানূষের ঢল নেমেছে বিভিন্ন পয়েন্টে। শিমুলিয়া, সাটুরিয়ে,আরিচা কিংবা মানিকগঞ্জে অসংখ্য মানুষ জমা হয়েছে। রাস্তায় বেরিকেড দিয়েও মানূষ ঠেকানো যাচ্ছেনা। গাড়ী বিহীন ফেরিতে মানুষের গাদাগাদির চিত্র দেখে শঙ্কিত এখন সকলে। বেশীরভাগ যাত্রীরই মূখে মাস্ক নেই। কর্তৃপক্ষ  ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষনা করলেও দুই পারে অপেক্ষমান যাত্রীদের ভির কমেনি। গতকালও ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। বিপদ জেনেও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখছেনা কেউ। বিধিনিষেধ অমান্য করে ফেরি পারাপারের দৃশ্যটি বিপদজনক। এই দৃশ্য দেখে মনে হয়না বাংলাদেশের মানূষ করোনার ভয়াবহতাটি অনুধাবন করেছে এবং বাংলাদেশে আরও জীবন হানীর সম্ভাবনা রয়েছে। আইন অমান্য করার প্রবনতা বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে সবখানেই রয়েছে। কিন্তু নীজের জীবনকে মৃত্যু মূখে ঠেলে দিয়ে এমন আইন অমান্য করার দৃশ্য এটাই প্রথম। সকল যাত্রী যারা কষ্ট করে ঈদ উদযাপন করতে গেছেন তারা সবাই সুস্থাবস্থায় কর্মক্ষেত্রে ফিরে আসুক এই প্রার্থনাই করি। বাংলাদেশ চীরজিবী হউক।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *