মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় বিদ্যালয় পরিদর্শন করলে বেশ কিছু শিশুদের হইহুল্লোড় করতে শোনা যায়। সেই শ্রেণি কক্ষের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায় তার সবাই তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। শিক্ষক আসেননি বলে তার যে যার মত ক্লাসে মজা করছেন। নিশাত তাসনিম, নাইমা জান্নাত নাবিলাসহ তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বলেন, সোমবার এ পর্যন্ত (দুপুর ২.৩৭) মাত্র একটি ক্লাস হয়েছে। এই অবস্থা প্রতিদিনের। সাপ্তাহের অন্যান্য দিনেও দুই-তিনটি ক্লাস হয়। কোন কোন দিন একটি।
বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখা যায়, একজন শিক্ষিকা ক্লাস নিচ্ছিলেন এবং অপর দুই শিক্ষিকা পায়চারী করছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকও আসেননি।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফাতেমা সুলতানা বলেন, বিদ্যালয়ের ৬ জন শিক্ষকের মধ্যে ১ জন আগে থেকেই ছুটিতে। একজন শিক্ষকের স্ত্রীর সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় তিনি আজ আসেননি এবং অন্য একজন প্রধান শিক্ষকের মায়ের জানাজায় যাবার কারণে প্রধান শিক্ষকও আজ বিদ্যালয়ে আসেননি।
সুলতানা জানান, তৃতীয় শ্রেণিতে একজন ম্যাডাম প্রায় ৪০ মিনিট ইংরেজির ক্লাস নিয়েছেন। দীর্ঘ সময় ক্লাস হওয়ায় আর কোন ক্লাস নেয়া হয়নি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো: মহিউদ্দিন বলেন, এরকম অভিযোগ আগেও পেয়েছিলাম। তখন সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে শিক্ষকদের কড়া সতর্কবার্তা দেই। আজকে আবারও একটি ঘটনা শোনলাম, এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।