একেএম কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁ জেলার বৃহত্তম ছাতরা,চৌবাড়িয়া, সতিহাট,দেলুয়াবাড়ী গরুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই নেই। বেশিরভাগ লোক রয়েছে মাক্স ছাড়া। জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার ছাতরা বাজারে অবস্থিত জেলার বৃহত্তম এ গরুরহাট।

করোনার ঝুকি নিয়ে ২৬ এপ্রিল সোমবার সপ্তাহিক এ গরুর হাটে হাজার হাজার ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছে এলাকাবাসীকে। এছাড়াও গরুর হাট ইজারাদার ও তার লোকজন দিয়ে সরকারি টোল আদায়ের তালিকার অতিরিক্ত দুই থেকে ৩ গুণ
বেশি টোল আদায় করছে।

এদিন দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় ছাতরা হাটে গরু ক্রয় করতে আসা কোদালী শহর গ্রামের বাবু বর্মন, চাকলা গ্রামের অছিম উদ্দিন, তাতিহার গ্রামের আবুল হাসান এবং বামইল গ্রামের লস্কর আলীসহ এ হাটে গবাদী পশু ক্রয় করতে আসা অন্যান্যদের সঙ্গে। তারা অভিযোগ করেন, প্রতি গাভীর বাচ্চাসহ ১২ শত টাকা ও একটা বলদ এবং বোকনা গরুর খাজনা বাবদ ৬ শত টাকা টোল আদায় করছে হাট ইজারাদারের লোকজন। কোন ক্রেতা অতিরিক্ত টোল দিতে আপত্তি জানালে তাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের স্বীকার হতে হয় ইজারাদারের টোল আদায়কারীর কাছ থেকে।

অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়ে ইজারাদার মোঃ আনোয়ার হোসেন এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে এই হাট ইজারাদারের ব্যবসায়িক সহকারী মামুনুর রশিদ এর সাথে হলে তিনি বলেন, লকডাউনের ফলে গত বছর ৮৮ লাখ টাকা তাদের এই হাটে লোকসান হয়েছে। বছরের লোকসানের টাকা এ পর্যন্ত সরকার তাদের দেয়নি। আর এই কারনেই এবছর করোনার
ঝুঁকি নিয়ে এই হাট চালু রাখতে বাধ্য হয়েছেন।

এব্যাপারে নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়া মারীয়া পেরেরা বলেন, অতিরিক্ত টোল আদায়ের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *