কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁ সদরের মৃর্ধা পাড়া চক-এলাম মহল্লার আলমগীর হেসেনের মেয়ে ৯ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের স্বীকার হয়েছেন। ধর্ষিতা ছাত্রী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সমাজে চক্ষু লজ্জার ভয়ে মেয়েটি পেটে বাচ্চা আসার কথা জানতে পারলে নিজ বাড়িতে ২/৩ বার আত্ম-হত্যার চেষ্টা করেছে। তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় গত বুধবার বিকেলে ধর্ষিতা মেয়েসহ তার পরিবার সদর থানায় এসে তদন্ত ওসিভকে মৌখিক অভিযোগ করলে ধর্ষক আব্দুল মোমিন (২৩) কে ৫ মিনিটের মধ্যে তার নিজ বাসা থেকে আটক করেছে নওগাঁ সদর থানা পুলিশ।

জানা যায়, একই গ্রামের মোঃ সাজেদুর রহমানের বিবাহিত ছেলে আব্দুল মোমিন (২৩) তার প্রতিবেশী সেন্ট্রাল গালর্স উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এতে ওই স্কুল ছাত্রী ৮ মাসের অন্ত:সত্তা হয়ে পড়ে। ১৫ সেপ্টেম্বর ঐ স্কুল ছাত্রী বিয়ের দাবি নিয়ে ওই ধর্ষকের বাড়ীতে গিয়ে অবস্থান করলে ধর্ষক বিয়ে করতে অস্বীকার করে এবং ধর্ষিতাকে মারপিট করে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার ১জনকে আসামী করে নওগাঁ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

ধর্ষিতার মা বলেন, আমার মেয়ের সাথে যে অন্যায় করা হয়েছে তার সঠিক বিচার চাই। আমরা গরীব মানুষ। আমাদের সাথে এ অন্যায় ওপর আলা সহ্য কররে না। আমি সঠিক বিচারের জন্য আইনের দ্বারস্থ হয়েছি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই জান্নাতুন ফেরদৌসী বলেন, মামলার আসামীকে আটকের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি(তদন্ত) মোঃ রাজিবুল ইসলাম বলেন, ধর্ষিতা মেয়েসহ তার পরিবার গত বুধবার বিকেলে থানায় এসে ঘুরপাক খাচ্ছিলো। এ সময় আমি বাহিরের কাজ শেষে থানায় প্রবেশের পথে মেইন গেটে তাদের সাথে কথা বলি এবং থানার ভিতরে নিয়ে গিয়ে সমস্থ কথা শুনে সাথে সাথে ধর্ষকের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে ৫ মিনিটের মধ্যে তাকে ধরতে আমরা সম্ভব হই। এ মামলায় ১জনকে আসামী করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *