বিশৃংখলাঃ গতকাল গ্রাম থেকে ফিরেছি। বুড়িগঙ্গা নদী পার হলে মাওয়া যেতে এখন সময় লাগে মাত্র ৩০ মিনিট। আমার বাড়ী মাওয়া ঘাট থেকে দশ মিনিটেরও কম দুরত্বে। গুলিস্তান কিংবা যাত্রাবাড়ী দুইখান থেকেই মাওয়া যেতে প্রায় একই সময় লাগে। কিন্তু গুলিস্তান থেকে গেলে বাবু বাজার ব্রীজ পার হতেই সময় লেগে যায় আধা ঘন্টা। একই অবস্থা যাত্রাবাড়ী হয়ে গেলে। পোস্তখোলা থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত প্রায় ৪০ মিনিট বসে থাকতে হয়েছে। যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় নেমে যা প্রত্যখ্য করেছি তা স্বাভাবিক নয় দখলদারি। নিয়ন্ত্রন নেই কোথায়ও। হকাররা রাস্তার প্রায় পুরুটাই দখল করে রেখেছে দুটি লাইন করে। গাড়ীত দূর মানুষ হাটার জায়গাটুকুও রাখেনি। দৃশ্যটি সবাই দেখছে। এ পথেই নেতা মন্ত্রী এম পি’রাও চলাচল করছে। কেউ জানতে চায়না রাস্তা বন্ধ করে কে এই অবাধ ব্যবসা করার সুযোগ করে দিল? এই অনিয়ম দেখার কি কেউ নেই? এই এলাকায় দীর্ঘ দিন বসবাস করেছি। চৌরাস্তাটি ছিল যাত্রাবাড়ীর ঐতিহ্য। নারায়নগঞ্জ, চট্রগ্রাম সিলেট সহ বহু রাস্তার যোগ সড়ক যাত্রাবাড়ী। ওভার ব্রীজ নির্মীত হয়েছে চৌরাস্তার উপর দিয়ে কিন্তু দুরাবস্থাটি বদলায়নি। একসময়ের অনুন্নত যাত্রাবাড়ী এখন বসবাসের অযোগ্য। চেনাই যায়না।

টোলঃ রাস্তায় টোল আদায় করে উন্নত দেশেও। টোলের টাকা দিয়েই অবকাঠামো নির্মানের অর্থ পরিশোধে করে। আদায়কৃত অর্থ জমা হয় সে দেশের রাষ্ট্রিয় কোষাগারে। বাংলাদেশে আগে রাস্তায় টোল ছিলনা। নদীর ঘাটে টোল দিত হত এক পয়সা দুই পয়সা করে। সেই ঘাটের ডাক নিয়ে শুনেছি খুনাখুনি হত। এখন রাস্তায় টোল দিতে হয় অনেক টাকা। ডিজিটাল পদ্ধতিতে এই টোল আদায় করা সম্ভব। প্রযুক্তিটি দেশীয় বিজ্ঞানীরাই প্রস্তুত করতে পারে। তাহলে কেন টোল আদায়ের জন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হচ্ছে? জেনেছি টেন্ডারে যে পরিমান অর্থ নির্ধারন করা হয় সেই টাকাও পরিশোধ করেনা। তাহলে কোন কারনে ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে টোল আদায় করে রাস্তার দুরাবস্থা সৃষ্টি করা হচ্ছে? রাষ্ট্রের অর্থ লোপাট করছে কিছু সন্ত্রাসী। টোল ছাড়াও সি এন জি/রিক্সার কাছ থেকে অর্থ আদায় করছে মহল্লার মস্তানরা। সবার সামনেই এই চাঁদাবাজি চলছে অবাধে। টাকার পরিমানটিও চোখ উল্টে যাওয়ার মত। মস্তানরা কোন কিছু না করেই বিত্ত্বশালী হচ্ছে। প্রভাব খাটিয়ে অর্থের পাশাপাশি রজনীতিও দখল করে নিচ্ছে। ঢাকা শহরের ওয়ার্ড কমিশনারদের রেকর্ড বেড় করলেই জানা যাবে কে কতটা কেসের আসামি। এই যদি হয় দেশের অবস্থা তাহলে দেশ কিভাবে উন্নত হবে? রস্তা নির্মান করে দেশের সর্বানাশ হবে আরও। সময় এসেছে আইন প্রনয়নকারীদের চক্ষু খুলে দেখার। অন্যায় অপরাধ বন্ধ না হলে, জাতীকে শিক্ষিত, সচেতন আর সুনাগরিক করা না গেলে উন্নত হয়েও পেছনে পরে থাকবে বাংলাদেশ।

আজিজুর রহমান প্রিন্স, ঢাকা, বাংলাদেশ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *