কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মহাদেবপুরে আট ও নয় বছরের দুই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে
আটক এক জন। গত রবিবার দুপুরে জেলার মহাদেবপুর উপজেলার সরস্বতীপুর গ্রামে এ ঘটনা জের ধরে গত শুক্রবার সকাল
১১টায় মেয়ের বাবা শোউখ হোসেন (৩৫) বাড়ীর মধ্য থেকে ধরে নিয়ে এসে  পিটিয়ে আহত করে বাবলু হোসেন (৪০) নামের এক ব্যক্তি কে।

শিশুটির পরিবার ও পুলিশের ভাষ্যমতে, গত রবিবার দুপুরে দুই শিশুকে মোবাইলে কার্টুন দেখার লোভ দেখিয়ে ঘরের মধ্য নিয়ে
তাদেরকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে।

স্থানীয় লোকজন জানায়, গত শুক্রবার সকালে শোউখ হোসেন হঠাৎ করে বাবলু হোসেনকে বেদম মারপিট করে। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে তাদের কেউও মারার হুমকি প্রদান করে শোউখ হোসেন। বাবলু হোসেন জ্ঞান হারিয়ে ফেললে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায় শোউখ হোসেন । পরে স্থানীয় লোকজন বাবলু হোসেনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা শ্রী জয়ন্তি রানী জানান, শুক্রবারে দিন সকালে শোউখ চিল্লাপাল্লা করতে করতে বাবলুর বাড়িতে গিয়ে বলে তোর
টাকা বেশি হয়ে গেছে বলেই মারতে শুরু করে। মার থামাতে এগিয়ে গেলে সে আমাদেরকে মারার হুমকি প্রদান করে। এবং মারতে মারতে রাস্তায় নিয়ে আসে জ্ঞান না হারানো পর্যন্ত বাবলুকে মারতে থাকে। কি জন্য মেরেছে কেন মেরেছে জানিনা। এখন শুনছি বাবলু না-কি ধর্ষণ করেছে। এই কথা আমার বিশ্বাস হয়না বাবলুকে আমরা চিনি সে এই রকম জঘন্য কাজ করতে পারে না। শোউখ নেশার টাকা না পেয়ে এই কাজ করেছে।

স্থানীয় হাফিজুর রহমান বলেন, বাবলু খুবই ভালো মনের মানুষ এরকম জঘন্য কাজ করবে আমার বিশ্বাস হয়না। আমার মনে হয়
পরিকল্পিতভাবে এটা সাজানো নাটক। একসঙ্গে দুটো মেয়েকে ধর্ষণ করবে এটা কি করে সম্ভব। প্রশাসনের কাছে আমার আকুল
আবেদন বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

এই বিষয়ে শোউখ এর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

শিশুটির মা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়ে ও ভাগ্নি বাবলুর বাড়ীর পাশে মাঠে ধানের চিতান নিয়ে খেলা করছিল এ সময়
মোবাইলে কার্টুন দেখার লোভ দেখাইয়া নির্যাতন করেছে আমি তার সুষ্ঠু বিচার চাই।

মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ বলেন, এই বিষয়ে বাবলু হোসেন নামে একজনকে আটক করছে পুলিশ। অসুস্থ থাকায় পুলিশ পাহারায় চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর মেডিকেল কলেজ হাসপালে ভর্তি আছেন। দু’টি মেয়েকে ধর্ষণ করার এই বিষয়ে পরিবার বাদি হয়ে একটা মামলা করেছে। ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ধর্ষণ হয়েছে কি না, পরীক্ষা  না করে বোঝা যাবে না’। ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য দুই শিশুকে নওগাঁ সদর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *