শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ০৪:৫৫ অপরাহ্ন

“রাজনীতি”

মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান
  • আপডেট টাইম: সোমবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৩২ বার পাঠিত
জাতীয় নির্বাচন

নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে দেশের রাজনীতি ততই উত্তপ্ত হচ্ছে। শঙ্কা বাড়ছে রাজনীতিতে। একটি সঙ্গবদ্ধ দল প্রচারনা চলাচ্ছে যে সুষ্ঠ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে। হিসাবটি কে করেছেন এবং কিভাবে করেছেন তা জানা যায়না। প্রচারনাটি নিয়ে সরকারের কিছু নেতাদের মনে ভয় ভীতি রয়েছে কথাটি মিথ্যা নয়। এই নেতাদের কারনে দলের ক্ষতিও হয়েছে। সংখ্যাটি কম বেশী সকলেরই জানা। ক্ষমতাসীন দলের জনপ্রিয়তা কমে সব দেশেই। কিন্তু বাংলাদেশে এর ব্যতিক্রমটি পরিস্কার।

দীর্ঘ সময় বাংলাদেশ একটি অনির্বাচিত সরকারের অধীনে পরিচালিত হয়েছে। সামরিক পোশাকে গনতন্ত্রের লেবাসে দেশ পরিচালনা করেছেন সামরিক ছাউনিতে বসে। ক্ষমতায় বসে ব্যক্তি প্রচারনা আর সম্পদের লোভে ব্যস্ত থেকেছেন নেতারা। বার বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছেন দেশকে। দেশের অর্থনীতি কিংবা উন্নয়ন মূখ থুবড়ে পরেছিল। শাসক দলের নেতারা জড়িয়ে পরেছিল দুর্নীতি আর অর্থপাচারে। খাম্বার নামে দুর্নীতি আর বিদ্যুৎ খাতের লুটপাট জাতীয় উৎপাদনকে ধংস করে দিয়েছিল। ক্ষমতাকে স্থায়ী করতে নির্বাচন কমিশনকে আজ্ঞাবহ করে ফেলা হয়েছিল। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগন ভোটের মাধ্যমে সেই অপশক্তিকে হটিয়ে আওয়ামী লীগ কে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। সেই থেকে দেশের অবস্থা ক্রমান্নয়ে কেবল উন্নতই হয়েছে।

অবকাঠামোর ব্যপক পরিবর্তন সহ যোগাযোগ ব্যবস্থায় অকল্পনীয় পরিবর্তন এসেছে দেশে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন বাস্তবতা এবং দক্ষিনের ১৯টি জেলা উন্নয়নে যূক্ত হয়েছে। অর্থনীতির চাকা ঘুড়ে জাতীয় রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়নের রেকর্ড স্পর্শ করেছে। দেশের উৎপাদন এবং রপ্তানী পাকিস্তান এবং ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। বিদেশীরাই বাংলাদেশের সাফল্যের বিবরন ছেপেছে। দেশের মাথাপিছু আয় বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশের মর্যাদা এনে দিয়েছে। এই সাফল্যকে নস্যাত করতে পূর্বের ক্ষমতাসিন দল বি এন পি দেশে যা করেছে এবং করছে জনগন তা’ও প্রত্যখ্য করেছে। পার্থক্যটি এখন পরিস্কার। দেশের জনগন এখন যথেষ্ঠ সচেতন এবং শুধু রাজনৈতিক সমর্থনের কারনে কোন দলকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে বিষয়টি এমন নয়। দেশের মানূষ একটি নেতৃত্বহীন অসমর্থ দল কে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে মনে হয়না। যে দলের দুই প্রধান নেতা ইতিমধ্যে অভিযুক্ত হয়ে দন্ডপ্রাপ্ত আসামি সেই দলের পক্ষে মাঠে নামার যৌক্তিক কোন কারন নেই।

সত্যটি হলো দেশের উন্নয়ন/ সফল্য দেখে বি এন পি নেতারাই শেখ হাসিনার পক্ষে কথা বলছেন। এটা ঠিক যে বহু আওয়ামী লীগের নেতার বিরুদ্ধে মানুষ ক্ষুদ্ধ কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ মানূষ শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চায় আবারও। এখন বিদেশী পর্যব্যক্ষকরাই বলছে শেখ হাসিনাই আবার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। দেশে সরকার বিরোধী জোট বড় হয়েছে, ব্যপক প্রচারনাও চলছে দেশে বিদেশে কিন্তু দেশের রাজনীতির রিয়ালেটি এটাই। আওয়ামী লীগের বিরোধী পক্ষ আর জোট যা’ই বলিনা কেন তাদের জন্য বাস্তবতাটি কঠিন। একটি সুষ্ঠ এবং অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন আমরাও চাই। কিন্তু বাস্তব অক্ষমতার কারনেই বি এন পি তা হতে দিবে মনে হয়না। দলটির নির্বাচন বর্জনের ঘোষনাও মাঠের বাস্তব চিত্রেরই প্রতিফলন। নিরপেক্ষতার অযুহাতে নির্বাচন বর্জন করবে বি এন পি।


আজিজুর রহমান প্রিন্স, কলামিস্ট ও আওয়ামীলীগ নেতা, টরন্টো, কানাডা

নিউজটি শেয়ার করুন..

More News Of This Category
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2020-2021 CNBD.TV    
IT & Technical Supported By: NXGIT SOFT
themesba-lates1749691102