তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ  প্রায় ১৭ ঘন্টার বিশেষ অভিযানের পর ধর্ষককে আটক করতে সক্ষম হয়েছে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ।

ঘটনা সুত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বিকাল অনুমান ৫ ঘটিকার সময় অত্র মৌলভীবাজার সদর মডেল থানাধীন ভিকটিমের বসত ঘরে এসে পরিবারের লোকজন ঘরে না থাকার সুযোগে ভিকটিম (নারী-পরিচয়গোপন সাপেক্ষে) কে আসামী বাবুল মিয়া(২৫) অনৈতিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দেয়। এক পর্যায়ে আসামী বাবুল মিয়া ওই নারীর বসত ঘরে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। ধর্ষনের ফলে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন বাড়ীতে এসে তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

ধর্ষক বাবুল মিয়া(২৫)

সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার ভিকটিমের চিকিৎসা শুরু করলে এক পর্যায়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলে সদর হাসপাতালের ডাক্তার ভিকটিমের উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে রাত অনুমান ১০.৩০ মিনিট ঘটিকার সময় রেফার্ড করেন মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল হতে কর্তব্যরত ডাঃ ঘটনাটি পুলিশ অবহিত হয়ে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভিকটিমের সু-চিকিৎসা নিশ্চিত ও তাকে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণে এ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা করেন ও আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ অন্যান্য আনুসাঙ্গিক প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে। বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে তার চিকিৎসা চলছে।

উক্ত ঘটনায় মাননীয় পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ জাকারিয়া মহোদয়ের নির্দেশে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ হবিগঞ্জ জেলাধীন সদর থানার অর্ন্তগত উচাইল রাজিউড়াসহ প্রত্যন্ত এলাকায় দীর্ঘ ১৭ ঘন্টার রাতভর বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষনের ঘটনায় সরাসরি জড়িত আসামী বাবুল মিয়া(২৫) কে আটক করে।

জানা যায় বাবুল মিয়া উচাইল গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে। হবিগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় আসামী বাবুল মিয়াকে আটক করতে সক্ষম হয়।

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার মডেল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়াসিনুল হকের সাথে কথা বলে এর সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং আসামী বাবুল মিয়া বর্তমানে মৌলভীবাজার মডেল সদর থানা হাজতে অবস্থান করছে বলে নিশ্চিত করেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *