এর আগে গত বৃহস্পতিতিবার (১১ মে) বিকেলে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ইমরান খানের গ্রেফতারকে অবৈধ ঘোষণা করে এবং অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে তাকে শুক্রবার (১২ মে) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়। প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ এ রায় দেন।
টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ইমরান আইএইচসিতে পৌঁছান। আদালত চত্বরের বাইরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্স মোতায়েন করা হয়েছে।
হাইকোর্টের বাইরে প্রচুর আইনজীবীকে পিটিআই প্রধান ইমরান খানের মুক্তির বিষয়ে একাত্মতা প্রকাশ করে স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
এদিকে হাইকোর্টে শুনানি শেষে ইসলামাবাদে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন ইমরান খান।
দলের চেয়ারম্যান হাইকোর্ট থেকে জামিন পাচ্ছেন, এটি নিশ্চিত হওয়ার পর পিটিআই তাদের সমর্থকদের রাজধানী ইসলামাবাদে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
নিজেদের দাপ্তরিক টুইটার পেজে এক ঘোষণায় পিটিআই বলছে, তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খানের প্রতি সংহতি জানাতে শুক্রবার (১২ মে) পুরো দেশ থেকে হাজার হাজার পাকিস্তানি শান্তিপূর্ণভাবে ইসলামাবাদের শ্রীনগর হাইওয়ে জি-১৩ এ এসে জড়ো হবে। ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজির হওয়ার পরে চেয়ারম্যান ইমরান খান এ স্থানে ভাষণ দেবেন।’
গত মঙ্গলবার (৯ মে) ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে নাটকীয়ভাবে আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়। এর একদিন পর তাকে আটদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। তবে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রীর গ্রেফতারকে অবৈধ ঘোষণা করে এবং অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দেয়।