অর্থ-বাণিজ্য ডেস্কঃ এবছর রমজানে খেজুরের দাম পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায় পর্যন্ত বেড়েছে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত। এমন পরিস্থিতিতে রোজার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ খেজুর কিনতে গিয়ে ক্রেতাদের পড়তে হচ্ছে বিপাকে, কপালে পড়ছে ভাঁজ। আগে যেসব ক্রেতা পাঁচ কেজি খেজুর কিনতেন তারা এখন কিনছেন ১ থেকে ২ কেজি।
তবে আমদানিকারকরা বলছেন: খেজুরের দাম বাড়েনি। তিন-চার বছর আগে আন্তর্জাতিক বাজারে খেজুরের দাম যা ছিলো এখন আবারও সে অবস্থায় ফিরেছে। মাঝের বছরগুলোতে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর কারণে সৌদিতে হাজীদের যাওয়া সীমিত থাকায় মধ্যপ্রাচ্যে খেজুরের চাহিদা কম ছিলো। যার কারণে দাম পড়ে গিয়েছিলো। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় খেজুরের আন্তর্জাতিক বাজার দর আগের অবস্থানে ফিরেছে।
‘দেশের বাজারে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন। আগে ১ ডলার বাণিজ্যিক ঋণপত্রের (এলসি) বিপরীতে টাকার বিনিময় মূল্য ছিলো ৮৫ থেকে ৮৬ টাকা। এখন সেখানে আমদানিকারকদের পরিশোধ করতে হচ্ছে ১০৮ থেকে ১০৯ টাকা পর্যন্ত। এখানেই খেজুরের বেড়ে গেছে শতকরা ১৮ থেকে ২০ শতাংশ। আবার আমদানি পণ্যের ওপর সরকারি ডিউটি-ট্যাক্সও ডলার রেট বেড়ে যাওয়ার কারণে বেড়ে গেছে। যেখানে আগে একটা ক্যারেটের জন্য খরচ হতে ৩০০ টাকা এখন সেটা ৫০০ টাকা।’
আমদানিকারকরা বলছেন, সব মিলিয়ে আমদানি ব্যয় বেড়েছে শতকরা ২২ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। এ কারণেই আন্তর্জাতিক বাজারে খেজুরের দাম কয়েক বছর আগের দাম থাকলেও দেশের বাজার বাড়তি।