অবশেষে রাজনীতির খেলায় হেরে গেল বি এন পি। অনেক চেষ্টা করে দলের কর্মীদের উজ্জীবিত করে রাস্তায় নামাতে পেরেছিল। কিন্তু নেতৃত্বের ভুলে তা আবার পূর্বাবস্থায় ফিরে গেছে। এখন কর্মীরা নেতৃত্ব মানছেনা। নেতারাও অনেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সদ্য পদত্যগী নেতারাও দল ছেড়ে নির্বাচ করতে মাঠে নেমে পড়েছে। কেন্দ্রীয় নেতারা অনেকে প্রকাশ্যেই তারেকের বিরুদ্ধে কথা বলছে। এমন দল আর নেতৃত্ব নিয়ে আর যাই হউক আন্দোলন সফল হবেনা। কোন দাবী আদায় করা সম্ভব হবেনা। এমন উপলব্দি থেকেই জনগন যেমন বি এন পি’র পক্ষে নেই, দলের নেতা কর্মীরাও আর নেতৃত্বের উপর ভরসা রাখতে পারছেনা।
দ্বিতীয় কথা, সরকারের বিরুদ্ধে নানা রকম অভিযোগ উঠলেও দেশে যে অভাবনিয় উন্নয়ন হয়েছে সে কথা সব মানুষই স্বীকার করে। কিন্তু বি এন পি নেতারা এই উন্নয়ন আর উন্নতির কথা অবলিলায় অস্বীকার করে চলেছে। দেশের জনগন দেখে এক আর বি এন পি নেতারা বলে আরেক। এই বৈপরীত্য শিশুকেও অবাক করে। তার চেয়েও বড় কথাটি হল বি এন পি জনস্বার্থে একটি দাবীও প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি। তাদের একটাই দাবী ” দেশে গনতনন্ত্র নেই”। গনতন্ত্র না থাকলে বি এন পি নেতারা অবিরাম মিথ্যাচার করে চলেছেন কি ভাবে? একটি বিষয়ে দলটি তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে ” নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে”। কিন্তু এই দাবী প্রতিষ্ঠিত করতেও সংবিধান বদল করা প্রয়োজন। তা কেবল জাতীয় সংসদেই সম্ভব। কিন্তু সংসদে এই বিলটি পাশ করাতে যে পরিমান ভোট দরকার বি এন পি’র তা নেই। সরকার কেন তাহলে বি এন পি’কে গ্রাহ্য করবে? যে তত্বাবধায়ক সরকারে দাবী বি এন পি উত্থাপন করেছে তার রূপরেখাটিও জনগনের সামনে তুলে ধরতে পারেনি। নির্বাচনে বিজয়ী হলে বি এন পি সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তার উত্তরটি অজানা। কোন ভরসায় জনগন বি এন পি’কে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে?
সরকারের মেয়াদ পূর্ন হতে আর মাত্র ১১ মাস বাকী। দল গোছানোর জন্য সময়টি যথেষ্ঠ নয়। তাই নেতারা নির্বাচনে আগ্রহী নয় (তারা জানে ভরাডুবি হবে)। কিন্তু তারেক নির্বাচনে যেতে চায় (কারন তার টাকা দরকার। নমিনেশন বানিজ্য করে ৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিবে)। এমন দল নিয়ে নির্বাচনে গেলে ফলাফল কি হবে তা সকলেরই জানা। নেতারা (যারা তারেকের মত বিদেশে যেতে পারেনি) নির্বাচনের পরে রাজনীতিতে টিকে থাকতে চায়। তারা নির্বাচনে যেতে রাজী হবে শুধুমাত্র তাদের বিজয় নিশ্চিত হলে। সংলাপ বা আলোচনা করে কোনই লাভ হবেনা।
আজিজুর রহমান প্রিন্স, কলামিস্ট ও আওয়ামীলীগ নেতা, টরন্টো, কানাডা।
ডিবিএন/এসডিআর/মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান