সিএনবিডি ডেস্কঃ আজ রোববার (৯ অক্টোবর) মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস উপলক্ষে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারা দেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। সাধারণত হিজরি বর্ষের ১২ রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হয়। বাংলাদেশে দিনটি সরকারি ছুটির দিন এবং দেশের মুসলমানরা এ দিন বিশেষ ইবাদত করেন।
৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই পবিত্র দিনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বিশ্ব শান্তি ও মুক্তির দূত হিসেবে নবী মুহম্মদকে (সা.) দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন। আবার ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের একই দিনে পৃথিবী ছেড়ে চলে যান তিনি। পাপাচার, অত্যাচার, মিথ্যা, কুসংস্কার ও সংঘাত জর্জরিত পৃথিবীতে মহানবী (সা.) মানবতার মুক্তিদাতা ও ত্রাণকর্তা হিসেবে আর্বিভূত হয়েছিলেন। অন্ধকার যুগের সব আঁধার দূর করে সত্য ও ন্যায়ের আলো জ্বালিয়েছিলেন তিনি। অন্ধকারাচ্ছন্ন পৃথিবীতে আলোর দিশা দিয়েছিলেন হযরত মুহম্মদ (সা.)।
ঈদ অর্থ খুশি। মিলাদুন্নবী অর্থ হলো হযরত রাসুল (সা.) এর জন্ম। তাই ঈদে মিলাদুন্নবী অর্থ দাঁড়ায় হযরত রাসুল (সা.) এর জন্ম দিনের খুশি। রাসুল (সা.) এর ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) বিষয়ে আল্লাহ পাক এরশাদ করেন, হে হাবিব আপনি বলুন, আললাহর রহমত ও করুনা হিসেবে আপনাকে পাওয়ার কারণে তারা যেন খুশি উদযাপন করে। এটা যেন তাদের সঞ্চয়কৃত সকল এবাদতের চেয়ে উত্তম। (সুরা ইউনুছ; আয়াত ৫৮)। মহান আল্লাহ পাক মুহাম্মদ (সা.) কে তাঁর সৃষ্টি জগতের সবার উপরে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। একারণেই ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) সকল ঈদ বা আনন্দের চেয়ে শ্রেষ্ঠ ঈদ বা শ্রেষ্ঠ আনন্দ। আর এজন্যই আল্লাহ তায়ালা এদিনে খুশি উদযাপন করতে বলেছেন।
এদিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বর্ণাঢ্য কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তরফ থেকে বলা হয়, আজ রোববার (৯ অক্টোবর) বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান প্রধান অতিথি হিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত পক্ষকালব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করবেন। এর আগে বাদ আসর (বিকেল সাড়ে ৪টায়) বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ চত্বরে মাসব্যাপী বইমেলার উদ্বোধন করবেন প্রতিমন্ত্রী।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানমালা: গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে পবিত্র কোরআনখানি, দোয়া মাহফিল, ১৫ দিনব্যাপী ওয়াজ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, বাংলাদেশ বেতারের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় সেমিনার, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আরবি খুতবা লিখন প্রতিযোগিতা, কেরাত মাহফিল, হামদ-নাত, স্বরচিত কবিতা পাঠের মাহফিল, ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্কুলে নৈতিকতা ও চরিত্র গঠনবিষয়ক সেমিনার, বিশেষ স্মরণিকা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ।
এছাড়া, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদ্যাপন উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সব বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, ৫০টি ইসলামিক মিশন ও ৭টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।