আজ শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে মুসলিম বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও পালিত হবে পবিত্র শবেমেরাজ। দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা কোরআনখানি, নফল নামাজ, জিকির, ওয়াজ মাহফিল, দোয়া ও বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে পবিত্র শবে মেরাজ উদযাপন করবেন।

ইসলাম ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, আল্লাহর অশেষ অনুগ্রহে এই মহিমান্বিত রাতে শেষনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সশরীরে জাগ্রত অবস্থায় হযরত জিবরাইল (আ.) ও হযরত মিকাইলের (আ.) সঙ্গে বিশেষ বাহন বোরাকের মাধ্যমে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা হয়ে প্রথম আসমান থেকে একে একে সপ্তম আসমান এবং সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত এবং সেখান থেকে একাকী রফরফ বাহনে আরশে আজিমে পৌঁছান ও আল্লাহ তায়ালার দিদার লাভ করার পরম সৌভাগ্য অর্জন করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়ায় প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি অবলোকন করেন সৃষ্টিজগতের সমস্ত কিছুর অপার রহস্য।

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওয়াত লাভের একাদশ বর্ষে ২৬ রজব দিবাগত রাতে সৃষ্টিজগতের আলোড়ন সৃষ্টিকারী এই ঘটনা সংঘটিত হয়।

আরবি ভাষায় মেরাজ অর্থ হচ্ছে সিঁড়ি। আর ফার্সি ভাষায় এর অর্থ ঊর্ধ্ব জগতে আরোহণ। পবিত্র কুরআনে মক্কা মোয়াজ্জমা থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত ভ্রমণকে পবিত্র ‘ইসরা’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা ‘মিরাজ’। হযরত মুহাম্মদ ছাড়া অন্য কোনো নবী এই পরম সৌভাগ্য লাভ করতে পারেননি। এ মেরাজ রজনীতেই মানবজাতির শ্রেষ্ঠ ইবাদত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হয়। এজন্য মুসলিম ধর্মালম্বীদের কাছে মিরাজের তাৎপর্য অনেক গুরুত্ব বহন করে।

এদিকে পবিত্র লাইলাতুল মেরাজ উদযাপন উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ আজ বাদ আসর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ‘লাইলাতুল মেরাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক এক ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।