মো.নাছির উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় দীর্ঘ ১৭ মাস পর গত ১২ই সেপ্টেম্বর রবিবার কলেজ ক্যাম্পাস  খোলা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের পদচারণায় কলেজে ফিরেছে প্রাণ। দীর্ঘ দিন পর চিরচেনা পরিবেশ ফিরে পাওয়ায় অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বইছে। কলেজ ক্যাম্পাসে তৈরি হয়েছে মিলন মেলা। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কলেজে স্বাস্থ্যবিধি ও নানা নির্দেশনা বাস্তবায়নে নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ।

বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের দ্বাদশ মানবিক বিভাগের  শিক্ষার্থী মুক্তা আক্তার বলেন, করোনাভাইরাসের জন্য অনেক দিন কলেজ ক্যাম্পাস বন্ধ ছিল। বহু প্রতীক্ষার পর আজ খুলেছে।

দ্বাদশ মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদ সুলতান বলেন, ঘরবন্দি জীবন কষ্টের ছিল। কলেজ খোলার কারণে এখন থেকে বন্ধুদের সঙ্গে লেখাপড়ার পাঁশাপাশি আগের মতো খেলাধুলা করতে পারবো।

বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের আর, এস, এল ও জেলা রোভার লিডার প্রতিনিধি মো.চাঁন মিয়া সরকার বলেন, বহুদিন পর কলেজ খোলার কারণে আজ আমাদের কলেজের  প্রাণ ফিরে পেয়েছে। মনে হচ্ছে, আমি একটি উৎসবে যুক্ত হয়েছি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রবেশ পথে শরীলের তাপ মাত্রা মাপা হয়েছে,বিভিন্ন জায়গায় হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রোভার স্কাউটস দল কলেজের  মাঠ পরিস্কার পরিছন্ন করতে দেখা গেছে, শ্রেণিকক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে  শিক্ষার্থীদের আসন বিন্যাস ও ক্লাস করতে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করতে দেখা গেছে রোভার স্কাউটস দলসহ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ দেখে সন্তুষ্ট শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের বিভাগীয় প্রধান প্রাণিবিদ্যা এবং স্বাস্থ্য বিধি মনিটরিং সেল প্রধান মো.আমিরুল ইসলাম  বলেন, দীর্ঘ দিন পর আমাদের কলেজের প্রাণ ফিরে পেয়েছে। কলেজ বন্ধ থাকায় আমরা অলস সময় পার করেছি। এখন আবার ব্যস্ততা বেড়েছে। খুব ভালো লাগছে।

বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রহিম বলেন, আমরা দীর্ঘ ১৭ মাস পর কলেজ খুলেছি সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী। কলেজ খোলার জন্য যা যা করনীয় আগে থেকেই আমাদের সকল প্রস্তুতি ছিল। আজ শিক্ষার্থীদের পদচারণায় কলেজের  প্রাণ ফিরেছে।স্বাস্থ্য বিধি মেনে শিক্ষার্থীদের কলেজে ও শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করানো হয়েছে। কলেজে উৎসবের আমেজ বইছে। খুব ভালো লাগছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *