তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সিবাজারস্থ মজনু মিয়ার দোকানে হাতে নাতে চোরকে আটক করা হয়। ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার (১৪ মে) ভোর ৫টার দিকে।

উপজেলার মুন্সিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান হরিশ্বরন রোডের মজনু মিয়ার মুদি দোকান পাড় করে যাওয়ার সময় দোকানের সাটার খানিকটা খোলা দেখে সন্দেহ হলে ভিতরে প্রবেশ করেন। ভিতরে প্রবেশ করে দেখেন পতনঊষার ইউপি গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত কবির মিয়ার পুত্র ও মুন্সিবাজার উত্তর বাজার সিএনজি স্ট্যান্ড এর সাবেক সভাপতি শেখ ফারুক দোকানের মুল্যবান মালামাল ব্যাগের মধ্যে নিচ্ছে। এমতাবস্থায় বাজার সেক্রেটারীর সাথে চোরের অনেক্ষণ ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে চোর দৌড়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু তার গায়ের জামা রয়ে যায় সেক্রেটারী শফিকুর রহমানের হাতে।

পরবর্তীতে বাজার ব্যবসায়ী সমিতি ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় চোরকে আটক করে মুন্সিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। ঐদিন সকাল অনুমান ১১টার সময় ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে এ নিয়ে মিমাংসার স্বার্থে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্তিত ছিলেন মুন্সিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জুনেল আহমেদ তরফদার, সহ-সভাপতি মাওলানা মাশহুদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান, ইউপি সদস্য শফিকুর রহমান শফিক, ইউপি সদস্য আলাল মিয়াসহ ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। বৈঠকে সিদ্বান্ত মোতাবেক সাব্যস্ত হয় চুরি হওয়া নগদ ১৩ হাজার ২শত টাকা দেওয়ার আশ্বাস ও মুচলেখা দিয়ে চোর শেখ ফারুককে নিয়ে যান পতনঊষার ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলাল মিয়া।

এই নিয়ে বাজার ব্যবসায়ীদের অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বিগত দিন মুন্সিবাজারে অনেক দোকানঘর চুরি হলেও কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। হাতে নাতে চোর ধরে মুচলেখা নিয়ে ছেড়ে না দিয়ে প্রশাসনের হাতে সোপর্দ করা প্রয়োজন ছিল। ব্যবসায়ীরা আরো জানান, আমরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে সব সময় ভয়ের মধ্যে থাকি কোন সময় কি হয়।

এ ব্যাপারে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, চোরের সাথে অনেক্ষণ ধস্তাধস্তি করায় আমি নিজে অসুস্থ হয়ে পরেছি। ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে আমরা শক্ত অবস্থানে রয়েছি।