সিএনবিডি ডেস্কঃ ২০২০ সালের মে মাসে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে বন্দী হওয়া লেখক মুশতাক আহমেদ কাশিমপুর কারাগারে আটক থাকা অবস্থাতেই গত বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। মৃত মোস্তাক আহমেদ নারয়নগঞ্জের আড়াইহাজার থানার ছোট বালাপুর এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

গতকাল শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) লালমাটিয়ার ‘সি’ ব্লকের মিনার মসজিদে জানাজা শেষে রাত পৌনে ১০টার দিকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে।

তবে তাঁর মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা ও গুঞ্জন। কারাগারে এই লেখকের মৃত্যুকে ‘হত্যা’ ধরে নিয়ে শুরু হয়েছিল আন্দোলন। আর এ নিয়ে শাহবাগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় মশাল মিছিল বের করা হলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এদিকে কাশিমপুর কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে মুশতাক কারাগারে মাথা ঘুরে পড়ে যান। এ সময় দ্রুত তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৮টা ২০ মিনিটে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তবে ঠিক কি কারনে তার মৃত্যু হলো সঠিক তা জানা যায়নি। ময়নাতদন্ত শেষে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব হবে।

গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোহাম্মদ শরীফ জানান, কাশিমপুর কারাগার থেকে ওই বন্দিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।

অন্যদিকে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) জয়দেবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ মো. বায়েজীদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কারাগারের পক্ষ থেকে মুশতাকের মৃত্যুর ব্যাপারে জিএমপির’র জয়দেবপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা (মামলা নং ১৩) রুজু করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১১ জানুয়ারি ডিজিটাল‌ নিরাপত্তা আইনের মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, লেখক মুস্তাক আহমেদ ও রাষ্ট্রচিন্তার কর্মী দিদারুল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। ২০২০ সালের মে মাসে রমনা থানায় মুশতাকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে র‌্যাব। তাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে করোনাভাইরাস নিয়ে গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো, জাতির জনকের প্রতিকৃতি, জাতীয় সংগীত এবং জাতীয় পতাকাকে অবমাননার অভিযোগ আনা হয়।

 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *