সাকিব আল হাসান, রৌমারী(কুড়িগ্রাম) : গাজাঁ, মদ, ইয়াবা ও হিরোইনের জন্য নামকরা গ্রাম চর লাঠিয়াল ডাঙ্গা। এটি কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের অন্তর্গত। এক সময়ে এখানে ছিল জনশুন্য কাঁশবন। বাস  করত শিয়াল-শঁকুন। কালের বির্বতনে হয়ে উঠেছে ঘন বসতিপূর্ন। রৌমারী ও রাজিবপুরের নদী ভাঙ্গন এলাকার বিভিন্ন সমাজের লোকজন দিয়ে ভরে গেছে গ্রামটি। এলাকার গুটি কয়েক জন মানুষ ছাড়া অধিকাংশ বহিরাগত। রাজিবপুর ও রৌমারী উপজেলার শেষ সীমানায় এর অবস্থান। প্রশাসনের লোকজন গ্রামে পৌছতে সময়ের ব্যাপার। সেই কারনে মাদক ব্যবসায়ী ও পাচার কারীরা সহজেই ব্যবসার ও সেবনের সুযোগ পায়।
মাদক ছাড়াও গ্রামটিতে  নিয়োমিত বসানো হয় জুয়া খেলা। ভারত সীমান্ত কাছে হওয়ায় এবং সীমান্তবর্তী আলগার চর ,খেওয়ার চর,লাঠিয়াল ডাঙ্গা গ্রামের বেশ কয়েক জন মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের আনিত মাদকদ্রব্য গুলো নিরাপত্তার জন্য এ গ্রামে মওজুদ করে রাখে বলে স্থানীয়রা জানান। মাদকের অভয়ারন্য হওয়ায়  রাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামারী,জালচিড়া পাড়া ,কড়াইডাঙ্গী পাড়া ,গড়াইমারীসহ  অনেক পাড়ার  যুবক মাদক সেবন ও ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েছে। এদের সাথে সঙ্গ দিচ্ছে দেশের বিভিন্ন  এলাকার ব্যবসায়ী ও সেবনকারী। সমাজের নামী-দাবী মানুষের সন্তানও জড়িয়ে পড়েছে মাদক ব্যবসার সাথে। সেটি অনেক পিতা-মাতার অজানা। স্কুল-কলেজ পড়য়াসহ  অনেক বখাটে বিভিন্ন অবস্থান থেকে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ কিংবা বিজিবির হাতে ধরা পড়ে গোমড় ফাঁক হয়ে যাচ্ছে। এলাকায় ধরা না পড়লেও দেশের বিভিন্ন স্থানে আটক হচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা। যারা অধিকাংশই রাজিবপুর ও রৌমার এলাকার বাসিন্দা। তারা কখনও মোটর সাইকেল যোগে,বাস যোগে  অথবা ভ্যান যোগে ব্যবসা করছে।
মাদক ব্যবসা ছেড়ে দেওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, শরীরে বহন করা ছাড়াও বর্তমানে মোটর সাইকেলের টিউবের মধ্যে ,বড় বড় মাছের পেটে,শোলার আটির মধ্যে,মিষ্টির বাড়ের মধ্যে,সিগারেটের প্যাকেটে ইয়াবা বহন করে নেওয়া হচ্ছে। যা আইনশৃংখলা বাহিনীর অজানা। তিনি জানান রাজিবপুর- রৌমারীর এই সীমান্তে কমপক্ষে ৫ শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে। এর মধ্যে ৫০ জনের বেশি মাদক সম্রাট। তারা সব দলেরই লোক।
এলাকাবাসীর দাবী- উক্ত গ্রামে একটি সাব-পুলিশ ফাঁড়ী গড়ে তোলা দরকার মনে করছেন। তাতে রাখা দরকার যৌথ বাহিনীর সদস্য।  নিয়োমিত রাস্তার মোড়ে মোড়ে বসানো দরকার আইনশৃংখলা বাহিনীর তল্লাসী । তাহলে এলাকায় মাদক ব্যবসা বন্ধ হতে পারে। আর আটক ব্যবসায়ীরা যাতে সহজেই জামিনে ছাড়া না পায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ ছাড়া পেয়েই আগের চেয়ে বেশি করে আকঁড়ে ধরে মাদক ব্যবসাকে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *