কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের রৌমারীতে হাবিবুল্লাহ (১৪) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রকে গলাকেটে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। গেল শুক্রবার (৩ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা শহরের রৌমারী ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার পাশে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এ উপজেলায় একের পর এক হত্যাকান্ডের ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।

আহত হাবিবুল্লাহ (১৪) উপজেলা সদরের রৌমারী ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার হাফেজ বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি রাজীবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিয়ামারী ক্যাম্প পাড়া এলাকার তারা মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে লজিং বাড়িতে খাবার খেয়ে ফেরার পথে নিজ মাদ্রাসার কাছাকাছি গেলে দুর্বৃত্তরা হাবিবুল্লাকে কৌশলে নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবনে ডেকে নেয়। এ সময় দুর্বৃত্তরা ধারালো ছুড়ি দিয়ে গলা কেটে তাকে হত্যার চেষ্টা করেন। তবে তার আত্মচিৎকারে মাদ্রাসার অন্য শিক্ষার্থীরা এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষনিক তাকে অন্যত্রে স্থানান্তর করা হয়।

স্থানীয়রা আরও জানান, সম্প্রতি এ উপজেলায় মা-ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা, এক যুবককে হাত-পা বেঁধে বস্তায় ভরে মাটিতে পুঁতে রাখার ঘটনায় মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা: জাহাঙ্গীর আলম জানান, গলাকাটা মুমূর্ষু অবস্থায় ওই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে আনা হয়। তার গলার সামনে ও পিছনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তার শ্বাসনালী কেটে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে রৌমারী ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার হাফেজ মাওলানা ইব্রাহীম খলিল বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থী মে মাসের ১২ তারিখে মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। এর আগে সে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কাউনিয়ারচর সিলেটপাড়া মাদরাসায় পড়ত। সে ভালো। কেনো এমন ঘটনা ঘটল তা বলতে পারছি না।’

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রৌমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনছার আলী জানান, এ ঘটনায় মাদ্রাসার পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি। গুরুত্ব সহকারে তদন্ত চলছে।