প্রথম দিনেই পদ্মা সেতুতে হিসু করার এই অসভ্যতা কেন হলো? এ কি ইচ্ছাকৃত এবং পরিকল্পিত? কারা এই পরিকল্পনা করেছে এবং কেন?

একটি বিষয় এখন পরিস্কার যে দেশে এক শ্রেনীর মানুষ এই সেতু নির্মান চায়নি। বিশ্ব ব্যংকের টাকা ফেরৎ নিতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে। কানাডার আদালত যখন দুর্নীতির প্রমান পায়নি বলে মামলা খারিজ করে দেয় তখন থেকেই কিছু নেতা এবং ব্যক্তি অবিরাম মিথ্যাচার করেছে পদ্মা সেতু নিয়ে। এখনো তারা দাবী করে দুর্নীতি হয়েছে এই সেতু নির্মানে। সরকার সেতুর হিসাবও প্রকাশ করেছে। তবুও মিথ্যাচার বন্ধ হয়নি। দেশের একজন সাধারন নাগরিক হিসাবে দাবী করতে চাই, কোথায়, কিভাবে এবং কত টাকা দুর্নীতি হয়েছে তা জনস্মমুখে প্রকাশ করুন। কারা কারা এই দুর্নীতিতে জড়িত (জানা থাকলে) তাদের নামও প্রকাশ করতে হবে। আইনও তাই বলে। বাদীকেই সত্যটি প্রমান করতে হবে।

সেতু নির্মিত হওয়ায় যাদের অন্তরে কষ্ট অনুভুত হচ্ছে, তারাই সেতুর উপর হিসু করার দু:সাহস দেখিয়েছে। বিষয়টি নেহায়েৎ হাস্যকর বলে উড়িয়ে দেওয়া ভুল হবে। তদন্ত করে মূল হোতাদের চিহ্নিত করে কঠিন সাজার ব্যবস্থা করতে হবে। পদ্মা সেতু শুধু সেতু নয় ১৭ কোটি বাঙালীর সাহসিকতার প্রতীক। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের অন্যতম অর্জন। কারও কারও অন্তরে জ্বালা ধরালেও সত্যটি হলো শেখ হাসিনাই এই সেতুর রূপকার। দেশ যে ভাবে উন্নত হয়েছে তারও কৃতত্ব শেখ হাসিনার। যারা প্রতিহিংসার অনলে পুরে যতই চিৎকার করুন, দেশের মানুষ পদ্মা সেতু পেয়ে আনন্দিত। হিসু করে বা নাট বল্টু খুলে এই সেতুর কিছুই করা যাবেনা। দেশের ১৭ কোটি মানুষ এই সেতুকে রক্ষা করবে।

আজিজুর রহমান প্রিন্স, কলামিস্ট ও আওয়ামীলীগ নেতা, টরন্টো, কানাডা।