খুলনা প্রতিনিধিঃ খুলনার পাইকগাছায় মুক্তিপনের দাবীতে আমিনুর রহমান (২০)নামে এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। আগড়ঘাটা কপোতাক্ষ নদের তীরে নিহতের রক্ত পাওয়া গেলেও মৃতদেহ পাওয়া যায়নি। মুক্তিপনের টাকা আদায়কালে অপহরণ চক্রের ফয়সাল নামের এক যুবককে সোমবার বিকেলে জনতা আটক করে পুলিশে দিয়েছে। এখনো নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

নিহত আমিনুর উপজেলার কপিলমুনির কপিলমুনি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ও একই ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের ছুরমান গাজীর ছেলে। আটককৃত ফয়সাল সরকার পাইকগাছার গদাইপুর গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়,রোববার রাত ৯ টার দিকে আগড়ঘাটা বাজার থেকে ৪/ ৫ জনের একটি চক্র আমিনুর রহমানকে অপহরণ করে। রাত ১০টার দিকে তাকে খুন করে নদীতে ভাসিয়ে দেয় বলে খুনি ফয়সাল পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তার দেয়া তথ্য মতে পুলিশ রক্তের আলামত সনাক্ত করেন বলে ওসি জিয়াউর রহমান জানান। নিহত আমিনুর শ্যামনগর গ্রামের ছুরমান গাজীর ছেলে ও কপিলমুনি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আমিনুরের ব্যবহৃত ফোন দিয়ে রোববার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তার পিতা ছুরমান গাজীর কাছে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। যা পাইকগাছা ব্রীজের নীচে রাখতে বলে। কিছু টাকাও সেখানে রাখা হয়। ঐ স্থান থেকে সোমবার দুপুর ১ টার দিকে টাকা নিয়ে চলে আসার সময় চারপাশে মোতায়ন করা লোকেরা অপহরণনকারী ফয়সাল সরদারকে আটক করে পুলিশে দেয়। আটকের সময় ফয়সাল সরদার নিজেকে সেনাবাহিনীর অফিসার বলে পরিচয় দেয়। তার সাথে আরও ৪/ ৫ জন রয়েছে বলে জানিয়েছেন অপহৃত ও নিহতের পিতা।

ওসি জিয়াউর রহমান জানান, গ্রেপ্তার করার পর ফয়সাল হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে হত্যার বর্ণনা দেয়। তার বর্ণনা অনুযায়ী কপোতাক্ষের পাড়ে গিয়ে জমাট বাঁধা রক্ত পাওয়া যায়। তার বাকি সঙ্গীদের আটকের জন্য । নিহত আমিনুরে লাশ উদ্ধারের জন্য পুলিশের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *