আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ চীনে গত ৬০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো কমেছে জনসংখ্যা। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশটির সরকার। জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে এরই মধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে চীন। এবার সিচুয়ান প্রদেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সব ধরনের বিধিনিষেধ বাতিল করেছে চীনা সরকার। বলা হয়েছে, এখন থেকে বিয়ে ছাড়াও সন্তান জন্ম দেওয়া যাবে।

গতকাল সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সিচুয়ানের স্বাস্থ্য কমিশন ঘোষণা দিয়েছে, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রাদেশিক সরকারের তালিকায় যে কেউ জন্মনিবন্ধন করাতে পারবেন। আগে বিবাহিত নারী-পুরুষ সর্বোচ্চ দুটি সন্তানের জন্মনিবন্ধন করাতে পারতেন। ওই প্রদেশে এখন যত খুশি তত সন্তান নিতে পারবেন বিবাহিত দম্পতিরা।

সিচুয়ানের প্রাদেশিক সরকার জানিয়েছে, এ নিয়ম আগামী পাঁচ বছর বলবৎ থাকবে।

মূলত, ১৯৭৯ সালে দেশটিতে গ্রহণ করা হয় ‘এক সন্তান নীতি’। আইন লঙ্ঘনকারীদের জরিমানা গোনার পাশাপাশি হারাতে হতো চাকরিও। ২০১৬ সালে বিতর্কিত নীতিমালা পরিহার করে সরকার। তবুও সাম্প্রতিক আদমশুমারিতে উঠে আসে, ছয় দশকের মধ্যে ২০২২ সালে দেশটির জনসংখ্যা কমেছে সাড়ে ৮ লাখ। এই ধারা অব্যাহত থাকলে দীর্ঘমেয়াদে ২০৫০ সাল নাগাদ চীনে জনসংখ্যা কমবে অন্তত ১১ কোটি।

জনসংখ্যার হার কমার কারণে হ্রাস পাবে তরুণ প্রজন্মের সংখ্যা। এরফলে কমবে জনশক্তি এবং রাজস্ব আয়। বিপরীতে বাড়বে সমাজকল্যাণ এবং স্বাস্থ্য ব্যয়। আর এসব বিষয় মাথায় রেখেই সন্তান নীতিতে বড় পরিবর্তন এসেছে সিচুয়ান প্রদেশের সরকার।

চীনের জন্ম নীতিতে অবশ্য অবিবাহিত নারীদের সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। এ ব্যাপারে স্পষ্টভাবে কোনো নিষেধাজ্ঞাও নেই। তবে কোনো নারী যখন জন্মপূর্বকালীন সরকারি সেবা, মাতৃত্বকালীন ছুটির বেতনের সুবিধা নিতে যান তখন তাদের বিয়ের প্রমাণ দেখাতে হয়।