লাইফস্টাইল ডেস্কঃ কিউমিন বা জিরা প্রতিটি দেশীয় রান্নাঘরের প্রতিদিনকার প্রয়োজনীয় একটা মশলা। জিরা হল ভেষজ বা মেডিসিনাল গুণ সম্পন্ন অন্যতম একটা মশলা যা রান্নার স্বাদ বৃদ্ধি করে। তবে মশলা হিসেবে ব্যবহৃত হলেও এটি আপনি অন্যভাবেও খেতে পারেন। যেমন ধরুন পানিতে মিশিয়ে। জিরা মিশ্রিত পানি শরীরের জন্য অনেক স্বাস্থ্যসম্মত।

প্রাকৃতিক উপাদান জিরায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন, অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক প্রোপার্টিজ, কার্বোহাইড্রেট, মিনারেলসহ বিভিন্ন ফ্যাটি অ্যাসিড মানবদেহের অনেক উপকার করে থাকে।

চলুন এবার তাহলে ম্যাজিকাল গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

  • জিরা পাচক রস বৃদ্ধি করে হজম প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে তোলে। এর বীজ উচ্চ লৌহ সমৃদ্ধ প্রতি এক চা-চামচ জিরাতে এক দশমিক চার মিলিগ্রাম পরিমাণ লৌহ থাকে। এছাড়াও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা রাখে জিরা। নিয়মিত খাওয়ার ফলে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল দূর হয়। এছাড়াও শরীরের প্রদাহ কমানোর সঙ্গে চর্বি কমাতে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে ভূমিকা পালন করে জিরা।
  • নিয়মিত জিরা পানি পান করার ফলে শরীরে পানির অভাব দূর হয়। পাশাপাশি দেহের তাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং শরীর শুকিয়ে গিয়ে কোনো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। এছাড়াও জিরার ভেতরে থাকা একাধিক উপাদান শরীরে প্রবেশের পর শক্তি বৃদ্ধি এবং এতে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়।
  • প্রতিদিনের ডায়েটে জিরার পানীয় রাখার ফলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত এই পানীয় পানে ত্বকের ভেতরে পটাশিয়াম, সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম, কপার এবং ম্যাঙ্গানিজের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করে এবং এর প্রভাবে স্কিনের ভেতরে থাকা টক্সিন উপাদান বাইরে বের হয়। এতে করে ত্বকের বয়সের ছাপ দূর হয় এবং ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়।
  • নিয়মিত জিরা পানি পান করলে শরীরের ভেতরে ডায়াজেস্টিভ এনজাইমের উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং সেই সঙ্গে লিভারে অবস্থান করা ক্ষতিকর টক্সিন উপাদান বের হয়ে যায়। ফলে লিভারের কর্মক্ষমতা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
  • জিরা পানির মধ্যে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করবার গুণ আছে।
  • আমরা অনেক সময়ে ঘুমের সমস্যায় ভুগি যার প্রতিফলন আমাদের রোজকার কাজ ও কর্মক্ষমতার ওপর পড়ে। প্রতিদিন  জিরা পানি খাবার পরে ঘুমের সমস্যা দূর হয়ে গভীর ও ব্যাঘাতহীন ঘুম হয় সেটা প্রমাণিত।  সূত্র: বোল্ড স্কাই

 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *