নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর চৌমুহনীতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় উসকানি ও ইন্ধনদাতা হিসেবে দায় স্বীকার করেছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল ইমাম ওরফে কমল (৩৯)। জবানবন্দিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী-৩ আসনের সাবেক সাংসদ বরকত উল্লাহ বুলুসহ ১৫ জনের নাম বলেছেন ফয়সাল। গতকাল সোমবার (২৫ অক্টোবর) রাতে জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সাঈদীন নাঁহীর আদালতে ফয়সালের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, জবানবন্দিতে ফয়সাল সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার উসকানিদাতা হিসেবে বরকত উল্লা বুলুসহ বিএনপি-জামায়াতের ১৫ নেতার সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন।
এর আগে ফেসবুকে অপপ্রচার, হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় উসকানিদাতা হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে বেগমগঞ্জ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আদালতে পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট ও নোয়াখালীর বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপির ৩ নেতাকর্মীসহ আরও ৮জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ইমরান হোসেন নিশান নামের একজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, হামলার দিন চৌমুহনী ব্যাংক রোডের রাম ঠাকুর মন্দির থেকে ১লাখ ৩৫হাজার টাকা লুট করে ভাগবাটোয়ার করে নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর চৌমুহনী শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গৌর নিত্যানন্দ বিগ্রহ (ইসকন) মন্দির, শ্রী শ্রী রাম ঠাকুর চন্দ্র আশ্রম মন্দির ও শ্রী শ্রী রাধামাধব জিউর মন্দিরসহ একাধিক মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে।