সিএনবিডি ডেস্কঃ বগুড়ার কাহালু ও শেরপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৬ জুলাই) সকাল ও শুক্রবার (১৫ জুলাই) বিকেলে এসব সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

শনিবার (১৬ জুলাই) সাড়ে ৮টার দিকে কাহালুর দরগাহহাট এলাকার সজল ফ্যাক্টরির সামনে বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কে প্রাইভেটকার ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও একজন আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন- নওগাঁর ধামইরহাটের তানছের আলী (৬০), তার ছেলে টগর আলী (৩৫), মফিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমান (৩৫) এবং প্রাইভেটকারের চালক পত্নীতলা এলাকার মান্নুর ছেলে সুমন(৩০)। এতে শাকিল (২০) নামে আরও এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, নিহত ব্যক্তিরা নওগাঁর ধামইরহাট থেকে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য বগুড়ার পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে উপজেলার বাংলাদেশ বেতার কেন্দ্রের সামনে কালিয়াপুকুর নামক স্থানে একটি পিকআপের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর একজনের মৃত্যু হয়।

কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমবার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অন্যদিকে, শুক্রবার (১৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে তিনটায় শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ঘোগা ব্রিজ এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে দুর্ঘটনায় ৪ জন মারা যান।

নিহতরা হলেন- গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সদরের বাসিন্দা মশিউর রহমান (৩৫), তার স্ত্রী বিলকিস বেগম (৩০), নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার শহিদুল ইসলামের স্ত্রী ফেন্সি বেগম (৪০) ও বাসচালক গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার কোব্বাত আলীর ছেলে সুজন মিয়া (৩০)। এদের মধ্যে তিনজনই পোশাক শ্রমিক। ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থল ঢাকায় ফিরছিলেন তারা। এসময় গুরুতর আহত উভয় বাসের আরও দশজন যাত্রীকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে যাত্রী মশিউর রহমান ও তার স্ত্রী বিলকিস বেগম শুক্রবার রাতে মারা যান।

শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বানিউল আনাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।