অনলাইন ডেস্কঃ গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগে, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্মাণাধীন ভবনে এ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাজিউর রহমান।

এদিকে ছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে গোপালগঞ্জ সদরের ঘোনাপাড়ায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা। সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বশেমুরবিপ্রবি ক্যাম্পাস থেকে হেঁটে বিক্ষুব্ধ প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী গোপালগঞ্জ সদর থানায় অবস্থান নেন। তারা বিচার চেয়ে ৩ দফা দাবি ও আল্টিমেটাম দেন।

ধর্ষিত ছাত্রীর একাধিক সহপাঠী জানান, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নবীনবাগ এলাকায় হেলিপ্যাড এলাকায় দাঁড়িয়ে বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিলেন ওই ছাত্রী। ওই সময় এক অটোরিকশা থেকে নেমে সাত থেকে আটজন ছাত্রী ও তার বন্ধুকে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে বন্ধুকে মারধর করে ওই ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে তারা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাজিউর রহমান বলেন, এ খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছি এবং আমি নিজে এ ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।

গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ অ্যান্ড অপারেশন) নিহাদ আদনান তাহিয়ান বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে অভিযান চালানো হয়েছে। আমাদের টিম ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করেছে। এরই মধ্যে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা বাকি ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।