জাতীয় ডেস্কঃ করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের অবস্থা তুলে ধরে দেশের জনগণকে বিদ্যুৎ-পানি-জ্বালানিসহ সবক্ষেত্রে সাশ্রয়ের অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি মুজিববর্ষ উপলক্ষে দ্বিতীয় ধাপে ৫ বিভাগে গৃহহীনদের দুই শতক জমির কাগজপত্র ও ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলাধীন চরকলাকোপা আশ্রয়ণ প্রকল্প, বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলাধীন গৌরম্ভা আশ্রয়ণ প্রকল্প, ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলাধীন চর ভেড়ামারা আশ্রয়ণ প্রকল্প, পঞ্চগড় জেলার পঞ্চগড় সদর উপজেলাধীন মহানপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প ও মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলাধীন জাঙ্গালিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হয়ে গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের কাছে ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করেন।

এসময় তিনি বলেন, একদিকে করোনা, অন্যদিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। এই যুদ্ধের সময় আমেরিকা রাশিয়ার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, যার ফলে আমাদের সার কিনতে সমস্যা হচ্ছে, খাদ্য কিনতে সমস্যা হচ্ছে। এসব কারণে শুধু বাংলাদেশ না বিশ্ববাপী মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। আজকে উন্নত দেশগুলোতে পর্যন্ত হাহাকার দেখা যাচ্ছে। আমেরিকা ইউরোপসহ সব জায়গায় বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার সাথে ডিজেল, জ্বালানি সাশ্রয়ের উদ্যোগ উন্নত দেশগুলোও নিয়েছে। তাই সবাইকে অুনরোধ করতে হবে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে হবে।

বিদ্যুৎ, পানি, জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয় অনুরোধ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এক ইঞ্চি জমিও যাতে পরে না থাকে, খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। লন্ডনের মতো জায়গায় এক লিটারের বেশি খাবারের তেল কেউ কিনতে পারে না। আমাদের এখানে তো ইচ্ছে করলেই পাঁচ লিটার তেল কিনতে পারছে। তবে আমাদের সাশ্রয় করতে হবে। আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ। আমাদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসবেই। সেজন্য আমাদের আগে থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য আপদকালীন সময়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সরকার সবসময় পাশে আছে। সতর্ক থাকবেন তাহলে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পারবো।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমাস সরকার সমাজের সব স্তরের মানুষের জন্যই আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে যাচ্ছে। পাশাপাশি ঋণ দেয়া হচ্ছে এবং প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। সেই সুযোগ নিয়ে নিজেদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে জীবনটাকে আরও উন্নত করবেন এবং নিজেরাও ভূমি কিনে ঘর বাড়ি করার যোগ্যতা যেন অর্জন করতে পারেন সেটাও আমরা চাই। কারও কাছে হাত পেতে নয়, নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে মর্যাদার সঙ্গে যেন বেঁচে থাকতে পারেন। এ সমাজটাকে আরও সুন্দরভাবে গড়ে তোলার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি গ্রামের মানুষ যেন সবধরনের নাগরিক সুবিধা পেতে পারেন সেটাই আমরা নিশ্চিত করতে চাই।

উল্লেখ্য, গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান প্রকল্পের ওপর একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন এবং এরপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়।