চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বিয়েতে খাবার টেবিলে অতিরিক্ত মাংস না দেওয়াকে কেন্দ্র করে বর ও কনেপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বর ও কনের মা-বাবাসহ অন্তত ৮-১০ জন আহত হয়েছেন।

গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার মৌলভীর দোকান এলাকার নিরিবিলি কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে নিরিবিলি কমিউনিটি সেন্টারে উপজেলার ছদাহা পূর্ব কাজীরপাড়া এলাকার কালা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহানের সঙ্গে নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর চরওয়াবদা এলাকার (বর্তমানে চট্টগ্রামের চন্দনাইশের হাছনদন্ডী) জসিম উদ্দিন ফারুকের মেয়ে মুক্তা বেগমের বিয়ের খাবারের আয়োজন করা হয় মৌলভীর দোকান এলাকার নিরিবিলি কমিউনিটি সেন্টারে।

দুপুর ১২টা থেকে বর-কনে উভয়পক্ষের লোকজন কমিউনিটি সেন্টারে খাবার গ্রহণ শুরু করে। দুপুর দেড়টার দিকে খাবার টেবিলে বরপক্ষের এক ব্যক্তিকে অতিরিক্ত মাংস এনে না দেওয়ায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি শুরু করে। এতে আটজন আহত হয়। ঘটনা থামাতে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তাদেরও মারধর করা হয়। পরে বর শাহজাহান নিজেও ঘটনাস্থলে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয় পক্ষের অনেকেই আহত হয়।

মেয়ের চাচা বলেন, ‘বিয়েতে বরপক্ষের ৩০০ লোককে খাবারের কথা থাকলেও দুপুর দেড়টা পর্যন্ত (বর) তাদের ৪০০ জনেরও বেশি খাওয়ানো হয়। এ সময় খাবার টেবিলে বরপক্ষের এক ব্যক্তিকে তৃতীয়বার অতিরিক্ত গরুর মাংস এনে না দেওয়ায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি শুরু করে। ঘটনা থামাতে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তাদেরও মারধর করা হয়। পরে বর নিজে এসে মারামারিতে যোগ দেন।

ছদাহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাদ হোসাইন চৌধুরী এ সময় বিষয়টির মীমাংসা করেন।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, ‘বিয়েতে মাংস কম দেওয়ার ব্যাপারে সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনা জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *