আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ সাউমে ১২ ও ১৩ জানুয়ারি প্রায় ৫০ জন নারীকে অপহরণ করেছে জঙ্গিরা। গতকাল সোমবার (১৬ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সরকার। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
২০১৫ সালে প্রতিবেশী মালি থেকে বুরকিনা ফাসোতে ছড়িয়ে পড়া বিদ্রোহের মধ্যে গণঅপহরণের ঘটনা এবারই প্রথম। যদিও পশ্চিমা দেশের নাগরিক ও স্থানীয়রা মাঝেমধ্যে জঙ্গিদের হাতে বন্দী হয়, তবে এর আগে দেশটিতে এত সংখ্যক নারীদের অপহরণ করা হয়নি। নাইজেরিয়ায় অবশ্য গণঅপহরণ চালায় পৃথক বোকো হারাম বিদ্রোহীরা।
অরিবিন্দা শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে লিকি গ্রামে ফল সংগ্রহের সময় এবং একই জেলার অন্য একটি স্থান থেকে ওই নারীদের ধরে নিয়ে যায় সশস্ত্র পুরুষরা।
সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, এসব নিরপরাধ ভুক্তভোগীদের নিরাপদ ও সুস্থ খুঁজে পাওয়ার লক্ষ্যে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, সহেলজুড়ে হাজার হাজার মানুষ নিহত এবং ২ দশমিক ৭ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সেখানে কৃষিকে প্রভাবিত করে খাদ্য সংকট বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে নিরাপত্তাহীনতা।
ভুক্তভোগী নারীদের স্বজনরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, তারা আশপাশের ঝোপে খাবারের সন্ধান করেছিল। কারণ গ্রামটিতে তাদের পরিবারকে খাওয়ানোর জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য ছিল না। তারা ফল, পাতা ও বীজ সংগ্রহ করছিল, যা পরে শিশুখাদ্য বানানো হতো।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিদ্রোহীরা উত্তরাঞ্চলের কিছু অংশ অবরোধ করেছে। এতে সেখানে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে এবং আটকে পড়া মানুষের কাছে ত্রাণ সরবরাহ করাও ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।