মোঃ খোরশেদ আলম, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ চলতি বোরো মৌসুমে মুরাদনগর উপজেলার ২২টি ইউনিয়নে ধানের ফলন কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষক ও এলাকা বাসী জানিয়েছেন। বীজ বপন ও চাষের সময় ভালো আবহাওয়া থাকলেও এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ফসল কাটা শুরু হওয়ার পর থেকে ঝড় ও বৃষ্টি অনেক এলাকায় ফসলের ক্ষতি করতে শুরু করে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের সতর্ক করেছে, মে মাসের শেষের দিকে আরও ঝড় হতে পারে। ঝড়ের আগেই ফসল ঘরে তুলে নিতে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছে কৃষি কর্মকর্তারা। তবে কৃষকদের অভিমত, ফসল কাঁচা থাকলে ঝড়ের আগে ফসল কাটা বেশিরভাগ সময় সম্ভব হয় না।

কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, ঝড়ের আগে বোরো ধান কাটতে না পারার অন্যতম কারণ হচ্ছে অনেকেই বোরো ধান চাষ শুরু করতে দেরী করেন। কারণ, বোরো বপনের আগে অতিরিক্ত এক ফসল চাষ করতে কৃষক আগ্রহী হয়ে থাকেন। এতে বোরো ফসলের ক্ষতি হয়।

সম্প্রতি মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে সরেজমিনে দেখা যায়,অধিকাংশ কৃষক ইতিমধ্যেই তাদের ফসল ঘরে তুলেছেন। গ্রামের রাস্তাগুলোতে ধান প্রক্রিয়াকরণের কাজ চলছে। কৃষকরা বলছেন,কিছু ধান তারা নিজেদের জন্য রেখে বাকিটা বিক্রি করবেন।

একজন কৃষক জানান, তার ৩ বিঘা বোরো জমি থেকে চলতি মৌসুমে ৩০ মণ কম ধান সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এতে তার ২৫/৩০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, ঝড়ে আমার ধানের শীষ মাটিতে হেলে পড়ে। এই সামান্য ক্ষতিই বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে। কারণ ডিজেল ও অন্যান্য কৃষিপণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে চাষের খরচ এবার অনেক বেশি ছিল। আর সরিষা তোলার পর বোরো চাষ করতে গিয়ে দেরি করে ফেলেছেন তিনি।

অপর আরেকজন কৃষক জানান, তার ২ বিঘা জমিতে ভালো ফলন হয়েছে।তিনি বলেন, আবহাওয়া ভালো ছিল, ফলনও ভালো হয়েছে। তিনি স্থানীয় জাত থেকে প্রতি বিঘায় ২০ মণ ফলন পেয়েছেন।