ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হচ্ছে। এই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সকলেই স্বতন্ত্র নয় এদের বেশীর ভাগই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। দলীয় পরিচয়ে নির্বাচন হচ্ছেনা তাই কে কোন দলের এখোনই বলা যাচ্ছে না। বি এন পি নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষনা দিলেও ৮০০ এরও বেশী বি এন পি প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছে। কতজন নির্বাচিত হয়ে আসতে পারে তার উপরই নির্ভর করবে বি এন পি’র পরবর্তী সিদ্ধান্ত।

ইতিমধ্যেই জামাত ইস্যুতে দলের অভ্যান্তরে বিরোধ শুরু হয়েগেছে। মোশারফ হোসেন এবং দুদু প্রাকাশ্যে উষ্মা প্রকাশ করেছেন জামাতের উপর। নেতারাও দলের ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলছেন গনমাধ্যমে। ভারপ্রাপ্ত চ্যয়ারম্যন তারেক রহমানের নেতৃত্ব বিপদে ফেলেছে সিনিয়র নেতাদের। তারেক চায় দুর্বার আন্দোলন কিন্তু জামাত ছাড়া নয়। মাঠ কর্মীরা মাঠে নেই জামাতের কারনে। জোটের নেতারা কথা বলছেন জামাতকে নিয়েই বেশী।

ড. কামাল হোসেনকে বি এন পি বিশ্বাস করে না। আবার ড. কামালও জামাতের সাথে ঐক্য চায়না। দলের পক্ষে কর্মীরা শ্লোগান দিলেও মাঠে নেই তারা। পার্টি অফিসেই হাতাহাতি হয় প্রায়ই। মান্না, রব সাকিরা গলাবাজী করছে কিন্তু শুনছেনা কেউ কারন তাদের দলও নেই- কর্মী বাহিনীও নেই। আবার ডা. জাফরউল্লাহ চান তারেককে সরিয়ে যোগ্য নেতৃত্ব। দলের একাংশ জাফরউল্লার প্রস্তাবের পক্ষে। তবে তারেক সমর্থক দলে ভারী। সমর্থকরাও চায় জামাতকে বাদ দিয়ে বি এন পি এককভাবে আন্দোলন করুক।

কিন্তু দেশের মানুষ চায় শেখ হাসিনাই প্রধানমন্ত্রী থাকুক। মানুষ যা দেখে আর বি এন পি যা বলে তার পার্থক্যটি জনগন এখন বুঝে গেছে ৷ কুমিল্লার ঘটনায় চেষ্টা করেও বি এন পি আন্দোলন জমাতে পারেনি। নতুন কোন হট ইস্যুও নেই বি এন পি’র হাতে নেই। তারেকের বক্তব্য শুনে দলের কর্মীরাই লজ্জায় মুখ ঢাকে। বেগম জিয়ার সমর্থন আছে কিন্তু তারেকের নেই। বি এন পি’কে রাজনীতিতে ফিরতে হলে নেতৃত্ব বদল করতে হবে। তারেক জামাতকে ছাড়বেনা। জামাতের কারনেই বি এন পি এখন ভাঙ্গনের মূখে। নির্বাচনের আগে এমনটি হলে বি এন পি’র ভরাডুবি হবে। দায়টিও এড়াতে পারবেনা তারেক। জামাতের সঙ্গে সম্পর্কটি এখন গলায় বিধেঁ গেছে বি এন পি’র। এই শঙ্কাতেই বি এন পি নেতারা এখন ব্যস্ত।

আজিজুর রহমান প্রিন্স, কলামিস্ট, টরন্টো, কানাডা।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *