কে বেশী দক্ষ চোর না পুলিশ? এই বিতর্কে পুলিশ হেরে যাবে। চোর ধরতে আইন পাশ করতে হয়, ততক্ষনে চোর সাফাই করে দেয় সব। পুলিশ যখন চোরের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে চোর তখন চুরির পদ্ধতিটাই বদলে ফেলে। ধরা পরলেও চোরের সাজা হয়না। পুলিশই আইনের ফাঁক ফোঁকর শিখিয়ে দেয় চোরকে। আইন রক্ষাকারী চোরের বন্ধু হয়ে যায় গোপনে। আইন বেচা কেনা হয় চড়া মূল্যে, অপরাধ বন্ধ হয়না। রাজনীতির চিত্রটিও অভিন্ন। নারী লোভি স্বামী যেমন ঘরে সুন্দুরী বউ রেখে পরকিয়া করে, দলের নেতারাও অনেকে ত্যগী কর্মীদের সরিয়ে সখ্যতা করে অযোগ্য নীতিহীন ভিন্ন দলের কর্মীদের সাথে। ভিন্ন দলের কর্মীদের দলে ঢুকিয়ে নেতা বানায়। দলের ত্যগী কর্মীরা হতাশ চিত্তে নিরব রয়। এই কর্মীরা নৈতিক কারনে দলের বিপক্ষেও যেতে পারেনা নব্য নেতাদের দুস্কর্মও সইতে পারে না। সংসার যেমন পরকিয়া দেখেও স্ত্রী ছেলেমেয়ে নিয়ে অবজ্ঞা আর অবহেলা সহে তেমনই দলকে ছেড়া যায়না কর্মীরা। নেতাদের বেলাল্লাপনা দেখে নিস্কৃয় হয়ে পরে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছেও সঠিক ভাবে পৌছায়না। ক্রমেই দলে বিদ্রোহ বাড়ে। ক্ষোভ আর ঘৃনা জমে কর্মীদের মনে। ক্ষমতাসীন নেতা এই বিদ্রোহ ঠেকাতে প্রতিপক্ষ বাহুবল পোষে দলে। অনেক ত্যগীকর্মী এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয় হামলা মামলার ভয়ে। বি এন পি বা জোট যতই চিৎকার করুক তারা আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ নয়। দেশের জনগন বি এন পি’কে সমর্থন করেনা।

আওয়্যমী লীগের আসল ভীতিটি এখন দলের বিদ্রোহী কর্মীবাহিনী। আগামী নির্বাচনে মনকষ্ট নিয়ে যদি নিস্কৃয় থাকে তাহলে কঠিন মুল্য দিতে হবে দলকে। নেতারা বিষয়টি অগ্রাহ্য করলে বড় ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে দলের। বি এন পি টের পেয়েই এখন লম্ফ ঝম্ফ শুরু করে দিয়েছে। অনেক নির্বাচনি এলাকায় বিদ্রোহী কর্মীদের সঙ্গে সখ্যতাও গড়তে তৎপর রয়েছে। সরকার দেশে অভাবনীয় সাফল্য এনে দিয়েছে, দেশের জনগনও আওয়ামী লীগকেই আবার ক্ষমতায় দেখতে চায়। কিন্তু স্থানীয় নেতাদের কর্মকান্ড বিবেচিত হবে নির্বাচনে। দলীয় কর্মীবাহিনী ছাড়া নেতারা সরকারের সাফল্য বর্ননা করে বৈতরনি পার হতে পারবেনা। নব্য নেতাদের আধিপত্য আর দলীয় কর্মীদের কোনঠাসা করে ক্ষতিগ্রস্থ্য হবে দল। স্থানীয় নেতারা অনেকেই এলাকায় আধিপত্য ধরে রাখতে আদর্শহীন অযোগ্যদের দিয়ে দল গঠন করেছেন। এখন কেউ আর দলের আদর্শ বাস্তবায়ন করতে রাজনীতি করেনা। জি হুজুর আর অযোগ্য কর্মীরা লোভে নীতিহীন শত্রুদের সঙ্গে মিশে গেছে। নৈতিক পতন ঘটেছে রাজনীতির।

সময় ফুরিয়ে যায়নি এখনও সুযোগ আছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে কেন্দ্রিয় নেতাদের উচিৎ দলের যোগ্য কর্মীদের মুল্যায়ন করা। ত্যগী কর্মীবাহিনীই দলের প্রানশক্তি।

আজিজুর রহমান প্রিন্স, কলামিস্ট ও আওয়ামীলীগ নেতা, টরন্টো, কানাডা।