সোশ্যাল মিডিয়াতে ভি পি (প্রাক্তন) নূর কে নিয়ে আলোচনার চলছে। কেউ কেউ নূরকে রাজনৈতিক নেতাও ভাবতে শুরু করেছে। গনমাধ্যমেও নুরের ছবি শিরোনাম হচ্ছে। কোথায় যায় কার সাথে বৈঠক করে কি কি ষড়যন্ত্র করে তা ফলাও করে ছাপা হচ্ছে। তার আসল পরিচয় সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভি পি নির্বাচিত হয়েছিল। এর পর থেকেই ভি পি নূর নিত্য খবরের জন্ম দিয়েছে। এই খবরের সব সুখবরও ছিলনা। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েও ঢাকার দৈনিক গুলি সংবাদ করেছে। এখন নূর নবগঠিত একটি দলের সদস্য সচীব। কিন্তু বক্তব্য দিতে বি এন পি’ র রিজভী আহাম্মদকেও ছাড়িয়ে গেছে।
ভিত্তিহীন বানোয়াট গল্প বলে সম্প্রতি ব্যপক সমালোচিত হয়েছে নূর। ওমরাহ পালন করতে গিয়ে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্ত্তার সঙ্গে বৈঠক করে নিজেই তা সোশ্যাল মিডিয়াতে স্ক্রোল করেছে। মানুষের গালমন্দসহ প্রবাসী বাঙালীদের হাতে লাঞ্চিতও হয়েছে। হীরু আলমের মত নিজেই নিজেকে নেতা দাবী করে যাচ্ছেতাই ভাবে সরকারের বিষাদগার করে চলেছে। রাজনীতিতে এমন কৌতুক চরিত্র থাকে। মানুষ তাদের অভিনয় উপভোগ করে। হীরু আলমের মত চরিত্র রাজনৈতিক বিনোদন ছড়ায়।
নুরু সঠিকভাবেই আবির্ভূত হয়েছে। ৮০র দশকে নূরা পাগলার উত্থান ঘটেছিল। অবশ্য গাঁজা সেবনের দীক্ষা প্রচার করে নূরা পাগলা বিখ্যাত হয়েছিল। নূরা পাগলা কে নিয়েও পত্রিকা পাড়ায় ব্যপক তোলপার শুরু হয়ে গিয়েছিল। সাপ্তাহিক বিচিত্রার মত পত্রিকা প্রচ্ছদসহ প্রবন্ধ ছেপেছে নূরা পাগলাকে নিয়ে। সেই সময়ের অনেক যুবক নূরা পাগলের আখরায় ভীর করেছে- তবে তা বেশীদিন স্থায়ী হয়নি। নূরু নামের মিলের কারনেই কিনা জানিনা ভি পি নূরেরও ভক্ত কুল রয়েছে। তাদের মোহটিও কতদিন স্থায়ী হয় সময় বলে দিবে। তবে রাজনীতিতে এমন জোকার চরিত্র বিনোদন ছড়ায়। নেতা হওয়ার যোগ্যতা নূরের নেই। যারাই নূরকে নিয়ে মাতামাতি করছে তাদের প্রতি শুভ কামনা রইলো। তবে একটি বিষয় নির্দ্বিধায় বলা যায়, নূর রাজনীতির ফ্যক্টর নয়। কিছু মানুষ নূরকে স্কেপ গোট বানিয়ে সরকারের অবস্থান পরীক্ষা করতে চাইছে। বুঝেও গেছে। নূর এখন পুতুল নাচের পোশাকি খেলনা।