মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সিএনবিডি ডেস্কঃ দেশে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পামওয়েল তেলের দাম স্থিতিশীল রাখতে অভিন্ন মূল্য অর্থাৎ একই দাম নির্ধারণ পদ্ধতি অনুযায়ী প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গতকাল বুধবার সচিবালয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, অভিন্ন মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুযায়ী এখন থেকে প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের মূল্যের সর্বোচ্চ সীমা হবে প্রতি লিটার সয়াবিন (খোলা) মিলগেটে ১০৭ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১১০ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১১৫ টাকা। বৈঠকে ভোজ্যতেল আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, যেহেতু সামনে রমজান মাস, দেশে বর্তমানে যথেষ্ট মজুদ আছে। তাই সব হিসেব-নিকেশ করেই এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন মিলগেট মূল্য ১২৩ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১২৭ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা। পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন মিলগেট মূল্য ৫৮৫ টাকা, পরিবেশক মূল্য ৬০০ টাকা এবং খুচরা মূল্য ৬২৫ টাকা। আমাদের দেশে যে তেল ব্যবহার করি তার ৭০ শতাংশ পাম সুপার, যার প্রতি লিটার মিলগেট মূল্য (খোলা) ৯৫ টাকা, পরিবেশক মূল্য ৯৮ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১০৪ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ভোজ্যতেলের দাম শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তবে দাম কমে গেলে বিবেচনা করা হবে, বেড়ে গেলেও বিবেচনা করা হবে। আমরা যে তেল ব্যবহার করি তার ৯০ শতাংশ আমদানি করতে হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে গত ৬ মাসে ৬৫ শতাংশ তেলের দাম বেড়েছে। শিপিং কস্টও বেড়েছে, জাহাজের তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচও বেড়েছে।

এছাড়া ভোক্তাস্বার্থ বিবেচনায় অপরিশোধিত সয়াবিন ও পামতেল আমদানিতে আরোপিত ভ্যাট আরও যৌক্তিক হারে নির্ধারণের জন্য ইতিমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে রাজস্ব বোর্ডকে এ বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

সভায় বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, বিএফটিআই’র পরিচালক মো. ওবায়দুল আজম, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড টেরিফ কমিশনের সদস্য (বাণিজ্যনীতি) আবু রায়হান আলবেরুনী, এনবিআরের সদস্য (শুল্ক) সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) মো. হাফিজুর রহমান, ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. হাফিজুর রহমান, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, টিকে গ্রুপের পরিচালক মো. সফিউল আফসার তাজলিম, সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, সিটি গ্রুপের উপদেষ্টা অমিতাভ চক্রবর্তী, এস আলম গ্রুপের সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক কাজী সালাহ উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা ডিজিএফআই এবং এনএসআই’র প্রতিনিধিরা।

 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *