মোঃ জ‌হির হো‌সেন, লক্ষ্মীপুরঃ প্রায়ই  দেখা যায় লক্ষ্মীপু‌রের রায়পুর বাজা‌রের বি‌ভিন্ন সড়‌কে বে‌দে প‌রিবা‌রের তিন চারজনের গ্রুপ প্রকা‌শে একরকম জোর ক‌রে টাকা তুল‌ছে পথচা‌রিদের থে‌কে।

সরজ‌মিনে দেখা যায় গত বৃহস্প‌তিবার সকাল থে‌কে বি‌ভিন্ন সড়কে পথচা‌রি‌দেরকে চার জ‌নের একটা গ্রুপ খাওয়ার জন্য  টাকা দে ব‌লে ঘি‌রে ধর‌তে দেখা যায়। বিভ্রান্ত হ‌য়ে বাধ্য হয়ে পথচা‌রি টাকা দেয়। অ‌নেক সময় ভাং‌তি টাকা না থাক‌লে ব‌লে ভাং‌তি আ‌ছে দে টাকা হা‌তে নি‌য়ে আর ফেরত দেয় না। পু‌রো টাকাই নি‌য়ে যায়। তা‌দের বে‌শিরভাগ টা‌র্গেট থা‌কে কম বয়সী এবং স্কু‌লের ছাত্র ছাত্রী কিংবা ম‌হিলা পথচা‌রি। এ ভা‌বে চ‌লে কিছু সময় রায়পুর গাজী মা‌র্কে‌টের সাম‌নের সড়‌কে, কিছু সময় চলে মা‌র্চ্চেন্টস স্কু‌লের সাম‌নে আবার কিছু সময় মূল সড়‌কে। এমন হেনস্থার শিকার ক‌য়েকজন পথচা‌রি ব‌লেন এদের কার‌নে বাজা‌রে এসে বিপা‌কে পড়‌তে হয়। লজ্যায় হেনস্থার শিকার হ‌য়ে টাকা দি‌তে  বাধ্য হই, এটা এক ধর‌নের প্রকাশ্য চাঁদাবা‌জির ম‌তোই  ম‌নে হয়। এ বিষ‌য়ে প্রশাস‌নের সহ‌যোগীতা কামনা ক‌রেন প‌রি‌স্থি‌তির শিকার পথাচা‌রিরা।

‌দে‌শের বি‌ভিন্ন স্থা‌নে ছ‌ড়ি‌য়ে ছি‌টি‌য়ে র‌য়ে‌ছে বে‌দে পরিবার। এক সময় মূল পেশা ক্ষুদ্র ব্যবসা হলেও শিঙ্গা লাগানো, তাবিজ কবজ বিক্রি, সাপ খেলা, সাপের কামড়ের চিকিৎসা, সাপ বিক্রি, আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্য সেবাদান, ভেষজ ওষুধ বিক্রি, কবিরাজি, বানরখেলা দেখানো, চুড়ি ফিতা বিক্রি, জাদু দেখানো ইত্যাদি তাদের জীবিকা নির্বাহের অবলম্বন ছিল।

কা‌লের প‌রিবর্ত‌নে ক‌মে গে‌ছে তা‌দের আ‌য়ের উৎস। আধু‌নিক ‌চি‌কিৎসা এবং শিক্ষার প্রসা‌রে এতের আ‌য়ের উৎস সংকু‌চিত হ‌য়ে প‌ড়ে‌ছে। আর তাই  তারা  বিকল্প আ‌য়ের মাধ্য হি‌সে‌বে এমন ধর‌নের কাজ‌কেই আ‌য়ের মাধ্যম হি‌সে‌বে নি‌য়ে‌ছে।