আজিজুর রহমান প্রিন্স, টরন্টো, কানাডাঃ সব খবর সংবাদ হয়না। সব সংবাদেও সাংবাদিকতা হয়না। সাংবাদিকতায় এথিক্স মেনে চলতে হয়। সব প্রোফেশনেই এথিক্স আছে কিন্তু সাংবাদিকতায় আরও বেশী। সম্প্রতি প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে সংবাদ আনতে গিয়ে প্রথমে ৬ ঘন্টা আটক এবং, পরে এজেহারভুক্ত মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। সতীর্থের মুক্তির দাবীতে ক্ষুদ্ধ সাংবাদিকরা রাস্তায় নেমেছে। কিন্তু নানা মূখি তৎপরতা চালিয়েও রোজিনা ইসলামকে মুক্ত করতে পারেনি সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা। প্রথম আলোর নিরবতা অবাক করেছে সকলকে। এখন রোজিনা ইসলাম জেলে। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে কি এমন গোপন তথ্য রয়েছে যা প্রকাশ পেলে দেশের ক্ষতি হবে জানিনা। দেশ এবং সরকারের সব তথ্যইত জনগন জেনে যায়। কোন কথাটি গোপন থেকেছে। এক মিনিটের একটি ভিডিও চিত্র ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। সেই ভিডিওতে রোজিনা বার বার বলছে ” আমি স্বিকার করছি আমার অন্যায় হয়েছে”। একজন সিনিয়র সাংবাদিক নীজ মূখে যখন স্বিকার করেন অন্যায় হয়েছে। তাহলেত গন্ডোগোল কিছু আছেই। আবার মন্ত্রী যখন বলেন ” সরকারের গুরুত্বপুর্ন নথি প্রকাশ পেলে সরকারের ক্ষতি হতে পারত”। তাহলে সেই নথির বিষয় উম্মোচন হওয়াও জরুরী। গোপন নথি গোপন রাখার দায়িত্ব সরকারী কর্মচারীদের। নথি উম্মুক্ত রাখার অপরাধে কোন কর্মচারীর বরখাস্থ্য হয়নি। তাহলে রোজিনা জেলে কেন? রোজিনার অন্যায় করার স্বিকারোক্তি সাংবাদিকের পরিভাষায় কি ব্যখ্যা আছে আমার জানা নেই। কিন্তু আইনের পরিভাষায় এর গুরত্ব আছে। দুটি বক্তব্যকে একত্রে করেই বিচার হতে হবে। একপেশে বিচার হলে ত্রুটিপুর্ন হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রীর বক্তব্যটিও গুরত্ব সহকারে বিবেচনায় নিতে হবে। দুই পক্ষের বক্তব্য সঠিকভাবে প্রকাশ হলেই বিষয়টি পরিস্কার হবে। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় চোরের আখড়া এ নিয়ে লেখা লেখি করেও চুরি আর অনিয়ম বন্ধ করা যায়নি। মন্ত্রনালয়ে অধীনে চকিৎসা সরঞ্জাম কেনার অনিয়ম হয়েছে বহু। এই মন্ত্রনালয়েরই একজন ড্রাইভার শত কোটি টাকার মালীক বনে গেছে। তথ্যের ভিত্তিতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাহলে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সম্পদের পরিমান কত? আজ রোজিনার জামিনের শুনানি হবে। যদি জামিন পায় তাহলে প্রেসক্লাবে জালাময়ি বক্তৃতা হবে। র্যজিনা বিখ্যাত হয়ে যাবে। কিন্তু এর চেয়েও বেশী জরুরী হবে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের পিয়ন দাড়োয়ান থেকে শুরু করে সচীব পর্যন্ত প্রতিটি কর্মকর্তা কর্মাচীর সম্পদের তথ্য উদঘাটন করা। গনমাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রানালয়ের দুর্নীতিগ্রস্থ্য কর্মচারী কর্মকর্তাদের অনিয়ম তুলে ধরা। সাংবাদিকরা নিরপেক্ষভাবে এই কাজটি করলে দুর্নীতির সাথে সাথে মন্ত্রনালয়ের সকল অপকর্ম জনগন জানতে পারবে। শুধুমাত্র সাংবাদিকরাই কর্মটি করতে। প্রকৃত সত্য উদঘাটন হলে জনগনই বিচার করবে কে দায়ী। সংবাদ আর সাংবাদিকতা দুটাই সার্থক হবে ( অবশ্য যদি সাংবাদিকরাও লোভে জড়িত না হয়)। কারন এখন সাংবাদিকরাও ধনী (অনেকে)।

 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *