মো.আমিন আহমেদ, সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটে গোয়াইনঘাট থানার ওসি আব্দুল আহাদ ও উপ-পরিদর্শক আব্দুল মান্নানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ আদালতে দুদক আইনে মামলা করেছেন ইনছান আলী নামে এক ব্যক্তি। গেল রোববার মামলা দায়েরের পর গত সোমবার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিলেট দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার অপর ৭ আসামি হলেন- জাফলং এলাকার ইমরান হোসেন সুমন, ছাতক উপজেলার আলাউদ্দিন, নয়বস্তির সমেদ, বিশ্বনাথের ফয়জুল ইসলাম, জাফলং নয়াবস্তির ফিরোজ, রহমত মীর ও সাবু মিয়া।

মামলার আবেদনে ইনছান আলী বলেন, তার নিজস্ব ভূমি থেকে ওসি আব্দুল আহাদ ও উপ-পরিদর্শক আব্দুল মান্নানের সহায়তায় বাকি ৭ আসামি জোরপূর্বক পাথর উত্তোলন করে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন। এদিকে, এ মামলায় পুলিশ সদস্যদের আসামি করায় জাফলংয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বাদী ইনছান আলীর ছেলে আলিম উদ্দিন জাফলংয়ের ত্রাস হিসেবেই খ্যাত। পুলিশ ছাড়া যে ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে তাদের সঙ্গে মিলেই তার ছেলে আলিম উদ্দিন ৫ বছর ধরে একই সঙ্গে জাফলং এ অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছেন।

৫ বছর আগে সামান্য বারকি শ্রমিক থেকে এখন শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বাদী ইনছান আলীর ছেলে আলিম উদ্দিন। টাকার জোরে জাফলং ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। আলিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে এ ওসির সময়ই চাঁদাবাজি, ধর্ষণ ও খুনসহ ডজন খানেক মামলা গোয়াইনঘাট থানায় হয়েছে। সবশেষ ১৮ জানুয়ারি জাফলং চা বাগানে এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে খুন করে পানিতে ফেলে দেয়ায় আলিম উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে গোয়াইনঘাট থানায় হত্যা মামলা করেন মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহীম আলী। সেই মামলায় এখনও পলাতক রয়েছেন আলিম উদ্দিন। হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল মান্নানকে বাদীর দায়ের করা দুদকের মামলার ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

গোয়াইনঘাট থানার ওসি আব্দুল আহাদ বলেন, তিনি এ থানায় যোগদান করার পর আলিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণসহ নানা অভিযোগ আসে। সে সব অভিযোগ যথাযথ তদন্ত করে মামলা রেকর্ড করা হয়। এতে কেউ ক্ষিপ্ত হলে কিছু করার থাকে না। দুদক আইনে মামলা হয়েছে তদন্তকারী সংস্থা নিশ্চয় তদন্ত করে দেখবেন, এ অভিযোগ কতটুকু সত্য।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *