মো.আমিন আহমেদ, সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটের মোগলাবাজার এলাকায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও পরে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানা। গতকাল রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি সিলেটের মোগলাবাজারের তোরখলা ইসলামিয়া বালিকা মাদ্রাসায় বই আনার জন্য রওনা হয় নবম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৪)। মাদ্রাসার সামনে পৌঁছামাত্র মুহিবুর রহমান নামের এক সিএনজি অটোরিকশা চালক জোরপুর্বক তাকে তুলে নিয়ে জালালাবাদ থানাধীন খালপাড়স্থ আদিল নামের এক দোকানির পিছনের রুমে আটক রাখে। পরে সেই ছাত্রী (১৪) কে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে মেয়েকে অপহরণের নাটক সাজিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীর বাবার নিকট মুক্তিপণের জন্য ৩ লাখ টাকা দাবি করে অভিযুক্তরা।

পরে মাদ্রাসাছাত্রীকে তার স্বজনরা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সে কিছুটা সুস্থ হওয়ার হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ওসিসি বিভাগে ভর্তি করেন। বর্তমানে সে হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছে।

এদিকে ঘটনার পর গতকাল ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৯ টার দিকে মেয়েটির পিতা বাদী মোগলাবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রেক্ষিতে মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার মামলা (নং-৩১) তাং-২৭/০২/২০২১ইং ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০(সংশোধনী-২০০৩) এর ৭/৮/৯(৩)/৩০ রুজু হয়।

মামলায় সিলেটের বিশ্বনাথের মাতাবপুর গ্রামের চেরাগ আলীর পুত্র মুহিবুর রহমান (৩৭) ও খালপাড় এলাকার সোনা মিয়ার পুত্র আদিল (২২)কে আসামি করা হয়েছে। তাদের দুজনকে গত ২১ ফেব্রুয়ারি আটক করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। এরপর ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। ধর্ষণ মামলা দায়েরের পর তাদের দুজনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *