সিএনবিডি ডেস্কঃ আগের বন্যার ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই সিলেটে ও সুনামগঞ্জ জেলায় আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ। এরইমধ্যে দুটি উপজেলার সঙ্গে জেলা শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। নগরের সাতটি ওয়ার্ডের বাসাবাড়িতে পানি ঢুকেছে।

অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢলের কারণে আবারও সুরমার পানি উপচে সিলেট নগরীতে পানি প্রবেশ করেছে। সুনামগঞ্জের সদর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সুরমা নদীর তীর উপচে হু-হু করে পানি ঢুকেছে লোকালয়ে। বানের পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

বৃহস্পতিবার পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সুরমা, কুশিয়ারা ও সারি নদীর পাঁচ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। ফলে বিভিন্ন হাওরে বাড়ছে পানির উচ্চতা। পানি বাড়তে থাকায় গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে সিলেটের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে আবারও বন্যায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এসব এলাকার মানুষ।

দ্বিতীয় দফার বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলা। ছাতকের সর্বত্র পানি থাকায় সড়ক-যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ছাতক ও দোয়ারাবাজারের প্রায় সব ইউনিয়নেই বন্যায় কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি। এখন পর্যন্ত ১০টি আশ্রয়কেন্দ্রে চার শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। একইভাবে তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার প্রধান সড়কে পানি থাকায় ওই দুই উপজেলার সঙ্গেও সড়ক-যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

এদিকে, সিলেট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমদ বলেন, সিলেটের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালের পর থেকে লুভা ও সারী নদীর পানি কিছুটা কমেছে। কানাইঘাটে সুরমার পানি কয়েক সেন্টিমিটার কমলেও শহরের দিকে সুরমার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে নগরীতে পানি বাড়ছে। টানা বর্ষণ অব্যাহত থাকলে বন্যার পানি আরও বাড়বে।

জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রতিটি উপজেলায় আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যায় বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বন্যা দেখা দেওয়ায় বিদ্যালয়গুলোতে বন্যার্তেরা আশ্রয় নেওয়ায় পাঠদানও বন্ধ রয়েছে।