কামাল উদ্দিন টগর, ব্যুরো প্রধান রাজশাহীঃ দুধ বিক্রি করতে না পেরে ও ন্যায্য দাম না পেয়ে সড়কে দুধ ঢেলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার খামারিরা।

শুক্রবার ও শনিবার (২৫ ও ২৬ জুন) সকালে বাহাদুরপুর বটতলা এলাকায় প্রায় ৩০ জন খামারী দুধ ঢেলে বাড়িতে ফিরেছেন।

জানা যায়, নাটোরের সিংড়া উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে প্রায় ৬০০টি গরুর খামার রয়েছে। রয়েছে বিভিন্ন বাজার ও হাট। এসবস্থানীয় হাট ও বাজারে দুধ বিক্রি হয়। বাড়িতে পুষ্টির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি মহাজনদের কাছে প্রতি দিন ৪০ থেকে ৬০ লিটার একেকজন খামারী বিক্রি করতে আসেন। কিন্তু লকডাউনের কারনে বাজার মন্দা থাকায় মহাজন না আসলে দুধ নেয়ার মত ক্রেতা ও থাকে না। দুধ নিয়ে বাড়ি ফেরাও কষ্টের কারন হওয়ায় বুক ভরা কষ্ট নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয় তাদের। এজন্য মিল্ক ভিটা গড়ে তোলার দাবি খামারীদের।

উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের খামারি সাদ্দাম হোসেন বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে খামার করেছেন। প্রতিদিন গাভীর খাবার ও পরিচর্যা বাবদ খরচ হয়। দুধ বিক্রি করতে না পারলে খামারিদের বিপদের সীমা থাকবে না।

আরেক খামারি কান্দিপাড়া গ্রামের শাহিরুল ইসলাম বলেন, খামার আর দুধ নিয়েই খামারিদের জীবন-জীবিকা চলে। দুধ বিক্রি করতে না পারলে পথে বসতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে কোনো কোনো দিন বিক্রি করতে হয়, এতে করে লোকসান গুনতে হচ্ছে আমাদের। বিশেষ করে খড় ও ভূষির দাম বেশি থাকায় এবং দুধের দাম কম হওয়ায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে খামারীরা। এ কারনে সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুগ্ধখামার গড়ে তোলার দাবি খামারীদের।

উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ খুরশিদ আলম জানান, কলম, চামারী, হাতিয়ান্দহ এলাকায় বহু খামারি আছে। চামারী ও হাতিয়ান্দহতে বেসরকারি ভাবে প্রাণ ও আরং দুগ্ধ ক্রয় করে। শুক্রবার কিংবা অন্যান্য ছুটির দিন দুধ ক্রয় বন্ধ থাকে।

তিনি আরও বলেন, ইটালী, ডাহিয়া ইউনিয়নে সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুধ শীতলীকরন অর্থাৎ ক্রয় কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *