তিমির বনিক, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: ২০২১ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় শীর্ষস্থান অক্ষুন্ন রেখেছে কুলাউড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এবার প্রতিষ্ঠানটি ২৮টি জিপিএ-৫ লাভ করেছে। গতবার উপজেলার মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৯ টি জিপিএ-৫ লাভ করেছিলো প্রতিষ্ঠানটি এবং ওইবার জেলার মধ্যে ৬ষ্ঠ হয়েছিলো।

কুলাউড়ায় এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি (ভোকেশনাল) মিলিয়ে ৬ হাজার ৪৬৩ জন শিক্ষার্থী এবারের পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাশ করেছে ৬ হাজার ২৪৩ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ২২০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭১ জন।

কুলাউড়া মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, এবছর এসএসসিতে উপজেলার ৩৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ হাজার ২৪৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৫ হাজার ৮১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬৬ জন। পাসের হার ৯৬.৮৯ শতাংশ। দাখিলে ১৭টি মাদ্রাসা থেকে ৮৭০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৮৩১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন। পাসের হার ৯৫.৫২ শতাংশ। ভোকেশনালে ৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৪৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করে ৩৩১ জন। পাসের হার ৯৫.৭৯ শতাংশ। কোনো জিপিএ-৫ নেই।

এসএসসিতে শতভাগ সাফল্য অর্জন করেছে ৩টি প্রতিষ্ঠান। তন্মধ্যে রাউৎগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ১৬১ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন। লংলা ক্যামেলিয়া ডানকান ফাউন্ডেশন স্কুল থেকে ১৩ জনের সবাই পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন। হাজিপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৬১ জনের সবাই পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন।

দাখিলে শতভাগ সাফল্য অর্জন করেছে বাবনিয়া হাসিমপুর নিজামিয়া আলিম মাদ্রাসা। ৮৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে সবাই পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। রবিরবাজার দারুছুন্নাহ ইসলামিয়া আলীম মাদ্রাসায় ৭১ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। মনসুর মোহাম্মদিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার ৩১ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাশ করেছে, ভাটেরা সাইফুল তাহমিনা দাখিল মাদ্রাসার ২৮ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাশ করেছে, ভূকশিমইল আলিম মাদ্রাসার ৩৬ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাশ করেছে। বরমচাল হযরত খন্দকার দাখিল মাদ্রাসার ৩৫ জনের সবাই পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন।

এদিকে উপজেলা পর্যায়ে এসএসসিতে জিপিএ-৫ এর ভিত্তিতে সেরা হয়েছে কুলাউড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। গত বছরের ন্যায় এবারও উপজেলার মধ্যে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। ওই প্রতিষ্ঠানের ২২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ১ জন অকৃতকার্য হয়েছে। ২৮ জন জিপিএ- ৫, এ গ্রেড ১০৪ জন ও এ মাইনাস ৪৩ জন। পাসের হার ৯৯. ৫৬ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে নবীন চন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। ২৫৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ২৫১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫ জন। পাসের হার ৯৯.২১ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে আলী আমজদ স্কুল এন্ড কলেজ। ২৯২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৮২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ জন। পাসের হার শতকরা ৯৬.৫৮ শতাংশ।

কুলাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আনোয়ার জানান, গতবছরের চেয়ে এবার ফলাফল ভালো হয়েছে। জিপিএ-৫ অনেকটা বেড়েছে। পাশের হারও বেড়েছে। পাশাপাশি দাখিল এবং ভোকেশনালেও বিগত বছরের চেয়ে পাশের হার বেড়েছে।