সিএনবিডি ডেস্কঃ রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্ত থেকে কিছু সেনা সরানোর ঘোষণা দেয়ার পর পরই বিশ্ববাজারে তেলের দাম প্রায় ৪ শতাংশ কমে গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, সামরিক মহড়া শেষে ইউক্রেন সীমান্তে মোতায়েন তার দেশের সেনাবাহিনীর একাংশকে প্রত্যাহার করা হবে।
আর তার এ ঘোষণার পর পরই ব্রেন্ট তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৩ ডলার ৮৪ সেন্ট কমে ৯২ ডলার ৬৪ সেন্টে পৌঁছে। একই সময়ে ওয়েস্ট টেক্সাস তেলও ব্যারেলপ্রতি ৪ ডলারেরও বেশি কমে ৯১ ডলার ২৯ সেন্টে বিক্রি হয়েছে।
অথচ গেল সপ্তাহে ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমা দেশগুলো এবং রাশিয়া চরম মুখোমুখি অবস্থানে পৌঁছে গেলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম ২০১৪ সালের অক্টোবরের পর থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। ব্রেন্ট তেল গত কয়েকদিনে ব্যারেল প্রতি ৯৭ ডলার পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।
গত ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্ববাজারে তেলের দামে ভয়াবহ ধস নেমেছিল। কিন্তু গত বছর ২০২১ সালে করোনার প্রকোপ কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে তেলের চাহিদা বেড়ে যায় এবং তেলের দাম শতকরা ৫০ ভাগেরও বেশি বৃদ্ধি পায়।
তবে এবার রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা সরানোর ঘোষণা দেয়ায় যুদ্ধের আশঙ্কা কমে গেছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। আর এ বিষয়টির সরাসরি প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে।
এছাড়া, অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ইরানের পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের যে সংলাপ চলছে সেদিকেও নজর রাখছেন তেল মার্কেটের নীতি নির্ধারকরা। ভিয়েনায় একটি চুক্তি হলে আন্তর্জাতিক বাজারে আবার ব্যাপক মাত্রায় ইরানি তেল আসতে শুরু করবে যা এই পণ্যের দাম কমাতে সহায়তা করবে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।