আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ অবশেষে আশঙ্কাই সত্যি হল। কৃষ্ণসাগরে বেজে উঠলো যুদ্ধের দামামা। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা করে দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অর্থাত্‍ ইউক্রেন দখলের যে পায়তারা করছিলো রাশিয়া তাই সত্যি হলো। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি এমনটাই জানিয়েছে।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেনেসামরিক অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যারা ইউক্রেনে রাশিয়ার এই অভিযানের বিরোধিতা করবে, তাদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করবে মস্কো।

https://twitter.com/ANI/status/1496685608496144385?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1496685608496144385%7Ctwgr%5E%7Ctwcon%5Es1_&ref_url=https%3A%2F%2Fm.dailyhunt.in%2Fnews%2Findia%2Fbangla%2Fdefencenews-epaper-dhf6f28f96440749e99d4f9f98876f0d87%2Frashiyarchapesiddhantthekesareesechebaiden-newsid-n362283180

এদিকে আজ বৃহস্পতিবার বিবিসির এক প্রতিবেদন সুত্রে জানা গেছে, রাজধানী কিয়েভের নিকটবর্তী বরিস্পিল বিমানবন্দরসহ কয়েকটি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র চালানো হয়েছে। ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী হামলা মোকাবিলা করে যাচ্ছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের স্থাপনা ও সীমান্ত রক্ষীদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।

এছাড়া, কিয়েভে বিমানবন্দর, সামরিক সদরদপ্তর ও সামরিক কমান্ড দপ্তর লক্ষ্য করে ‘ক্রুজ মিসাইল’ হামলা চালানো হয়েছিল বলে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ইন্টারফ্যাক্স ইউক্রেন জানিয়েছে, ইউক্রেনের দুটি উপকূলীয় শহর ওডেসা ও মারিয়োপল-এ রুশ সেনারা প্রবেশ করেছে।

এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা ইউক্রেনের সেনা স্থাপনা, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও বিমান বাহিনীর ওপর ‘হাই প্রেসিশন ওয়েপন বা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম’ অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে।

রাজধানী কিয়েভ ছাড়াও ক্রামাতোরস্ক এবং দোনেৎস্ক অঞ্চলে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে বিবিসির প্রতিনিধি নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ, দক্ষিণের ওডেসায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করা হয়।

এদিকে বিদ্যমান এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে সামরিক আইন জারি করতে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

বিবিসি বলছে, প্রেসিডেন্টের এই আহ্বানের পর দেশে সামরিক আইন জারির বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে শিগগিরই ওই পরিষদ বৈঠকে বসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।