রাজনীতি ডেস্কঃ সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ কি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হতে যাচ্ছেন? সোহেল তাজের ছোট বোন মাহজাবিন আহমদ মিমির এক ফেসবুক পোস্টকে ঘিরেই এই বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। সোহেল তাজ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন বলে এর আগেও অনেক গুঞ্জন উঠেছিল।

গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোহেল তাজের রাজনীতিতে ফেরার বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে নিউজ প্রকাশিত হয়। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এসব নিউজ শেয়ারও করেছেন তিনি। এছাড়া পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার বিষয়ে মানসিক প্রস্তুতিও নাকি নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানিয়েছে, সোহেল তাজের জন্য আওয়ামী লীগের দরজা সব সময় খোলা। দলের সভাপতি শেখ হাসিনাও চান সোহেল তাজ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হোক। জাতীয় চার নেতার সন্তানেরা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে থাকুক, এটি তিনিও চান। তাই সোহেল তাজ আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের নির্দেশেই সক্রিয় হচ্ছেন। তাকে দলের আগামী কাউন্সিলে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ার ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে।

এদিকে গত ১১ আগস্ট সোহেল তাজের ছোট বোন মাহজাবিন আহমদ নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে একটি স্ট্যাটাসে লেখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আসন্ন কাউন্সিল অধিবেশনে তানজিম আহমদ (সোহেল তাজ) দলীয় নেতৃত্বে আসছেন ইনশাআল্লাহ। জয় বাংলা! জয় বঙ্গবন্ধু! জয়তু শেখ হাসিনা!! বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

এ ব্যাপারে সোহেল তাজ গণমাধ্যমকে জানান, আমি দলের (আওয়ামী লীগের) জন্য সর্বদা প্রস্তুত আছি। যে কোনো পরিস্থিতিতে দল যদি মনে করে, আমি অবদান রাখতে পারি-তাহলে আমাকে ডাকলে যাব। আমি আওয়ামী লীগের জন্য অতীতে প্রস্তুত ছিলাম, এখনো প্রস্তুত, ভবিষ্যতেও তৈরি থাকব।

ফেসবুক পোস্ট নিয়ে গণমাধ্যমকে মাহজাবিন আহমদ মিমি বলেন, মন্ত্রিত্ব ও সংসদ-সদস্য পদ ছেড়ে দিলেও সোহেল তাজ সব সময় আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছেন। সব জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থেকে দলের জন্য শুভ কামনা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের একমাত্র পুত্র তানজিম আহমদ সোহেল তাজ ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে একই আসন থেকে পুনরায় নির্বাচিত হন। এর পরের বছর ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান সোহেল তাজ।

তবে এক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিমান করে ২০০৯ সালের ৩১ মে প্রথমে মন্ত্রিত্ব পরে সংসদ সদস্য পদ ছাড়েন। আর ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল তিনি সংসদ সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেন। এরপর তিনি রাজনীতি থেকেও আস্তে আস্তে দূরে সরে যান।

অন্যদিকে, সোহেল তাজের ছেড়ে দেওয়া গাজীপুরের কাপাসিয়া আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তারই মেজ বোন সিমিন হোসেন রিমি।

তবে রাজনীতি ছেড়ে চুপচাপ ঘরে বসে ছিলেন না সোহেল তাজ। সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।