শিক্ষা ডেস্কঃ ২০০৯ সালে থেকে বন্ধ হওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা ১৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হল। দীর্ঘসময় পর অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষার ফল আগামী ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হতে পারে। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) পরীক্ষা শেষে গণমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
এবারের এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন প্রায় ৫ লাখ শিক্ষার্থী। এবার ৮২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হবে।
মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ফেব্রুয়ারিতে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার পরিকল্পনা আছে। বুকলেটে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান- এই চারটি বিষয়ে ২৫ নম্বর করে ১০০ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর করতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের।
এ বছর ৮২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হবে। এরমধ্যে ট্যালেন্টপুলে ৩৩ হাজার এবং সাধারণ গ্রেডে ৪৯ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হবে। এরমধ্যে ৫০ শতাংশ ছাত্র এবং ৫০ শতাংশ ছাত্রীদের মধ্যে জেন্ডারভিত্তিক মেধা অনুসারে বৃত্তি প্রদান করা হবে। ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসিক ৩০০ টাকা এবং সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসিক ২২৫ টাকা করে পাবেন।
উল্লেখ্য, করোনার প্রভাবে গত ২ বছর পিইসি পরীক্ষা হয়নি। এই পরীক্ষা তুলে দেওয়ার পর চলতি বছর থেকে আবারও বৃত্তি পরীক্ষা শুরু হলো।