স্পোর্টস ডেস্কঃ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ সোমবার (৬ মার্চ) বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের মধ্যে চলমান তৃতীয় ওয়ানডের প্রথম ইনিংস শেষে গ্যালারি ছিল প্রায় দর্শকশূন্য।যেখানে গ্যালারি সবসময়ই ফুলহাউস থাকে।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ম্যাচই অনুষ্ঠিত হয় মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। তাই চট্টগ্রাম কিংবা সিলেটের দর্শকদের মাঝে সব সময়ই একটা আক্ষেপ থেকে যায়। তবুও যখনই বাংলাদেশের ম্যাচ হয় এই দুই ভেন্যুতে, দর্শকের কোনো কমতি থাকে না। প্রিয় দলের সমর্থনে মাঠে নামে দর্শকদের ঢল।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ইতোমধ্যে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেও আজকের ম্যাচটা টাইগারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রতিপক্ষ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। তবে তারকায় ভরপুর এমন এক ম্যাচ দেখতে দর্শকদের আগ্রহের বদলে দেখা গেল অনীহা। ২২ হাজারেরও বেশি ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে আজকের ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখতে দশ শতাংশ মানুষের উপস্থিতি নিয়েও আছে সংশয়। এ যেন মুদ্রার পুরোপুরি উল্টো চিত্র।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সাম্প্রতিক আসরগুলোতে স্টেডিয়ামে খুব একটা দর্শক সমাগম হয় না। সেই বিপিএলেও এবার দর্শকের এতটা খরা ছিল না যেটা দেখা গেছে আজকের বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচে।
অথচ গত দুই ম্যাচেও দর্শকরা মাঠের যাওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিল। টিকিট নিয়ে ছিল হাহাকার। টিকিটের চাহিদা এত বেশি ছিল যে শেষ পর্যন্ত ব্ল্যাকে টিকেট কিনতে বাধ্য হয়েছিল অনেক দর্শক। মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানেই তার একদম উল্টো চিত্র।
বলার অপেক্ষা রাখে না সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে বাংলাদেশ সিরিজ থেকে ছিটকে যাওয়ায় এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে স্টেডিয়ামে। আবার ছুটির দিন না হওয়ায়ও দর্শক সমাগম কম হচ্ছে বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ এ সিরিজে অবশ্য দর্শকদের হতাশ-ই করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়লেও দ্বিতীয় ম্যাচে টাইগাররা পুরোপুরি হতাশ করেছে। দল হেরেছে বিশাল ব্যবধানে।