সেইরকম জাঁকজমক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক। কিন্তু অনুষ্ঠানের খরচ প্রকাশ্যে আসার পর চোখ কপালে ওঠার মতো অবস্থা ব্রিটিশ জনগণের। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে তৃতীয় চালর্সের রাজ্যাভিষেকের জন্য ব্রিটিশ কোষাগার থেকে ব্যয় হয়েছে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড বা প্রায় ১২ কোটি ৬০ লাখ (১২৬ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১ হাজার ৬৭৫ কোটির মত। আর সাধারণত ব্রিটিশ রাজ পরিবারের রাজ্যাভিষেকের খরচ ওই দেশের সরকারকেই বহন করতে হয়।
এদিকে একাধিক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ্য করা হয়েছে, তৃতীয় চালর্সের রাজ্যাভিষেক উপলক্ষ্যে বহু বিদেশী অতিথির সমাগম হয়েছিল ব্রিটেনে। তাঁদের আসা-যাওয়া থেকে শুরু করে খাওয়া-দাওয়া, থাকা এবং নিরাপত্তার খাতে প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়েছে। রাজ্যাভিষেক উপলক্ষ্যে বিদেশি অতিথিরা আসার ফলে বিমান পরিষেবা ১৪৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ব্রিটেনের হোটেলগুলির মুনাফা ৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল বলে খবর।
ব্রিটেনের ৫১ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, রাজ্যাভিষেকের জন্য এত খরচ করা ঠিক হয়নি ঋষি সুনক সরকারের। জনগণের একাংশের মতে, এই বিপুল ব্যয় প্রভাব ফেলতে বাধ্য সাধারণ মানষের উপর। সরকার বাড়তি আর্থিক বোঝা করদাতাদের উপর চাপাতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
অন্যদিকে সাধারণ মানুষের আশঙ্কাকে পাত্তা দিতে নারাজ ব্রিটিশ সরকার। তাদের মতে, রাজ্যাভিষেকের জেরে ব্রিটেনের পর্যটন, রেস্তোরাঁ ও পাবগুলির কোটি কোটি বিদেশী মুদ্রা আয় হয়েছে। এর ফলে অর্থনীতির উন্নয়ন হবে বলে সওয়াল করেছে সরকার।