তিমির বনিক, মৌলভীবাজারঃ শ্রীমঙ্গলে স্বামীর হাতে এক স্ত্রী নির্মমভাবে খুন হয়েছেন। ঘটনা সুত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলার সদর থানার সুলতানসি গ্রামের আঃ কাইয়ূম এর ছেলে মাসুম মিয়া (২৪) চার বছর পূর্বে সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার মৃত আজিজুর রহমানের ছোট মেয়ে শাহীমা আক্তারের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পর হতেই মাসুমের সাথে শাহীমার পারিবারীক কলহ লেগেই থাকতো। পারিবারিক কলহের জেরে শাহীমা আক্তার তার বড় বোন হালিমা আক্তারের সাথে হবিগঞ্জে বসবাস করত। বড় বোন সিসিডিএ সমিতিতে চাকুরী করেন। হবিগঞ্জ থাকাকালীন সময়ে শাহীমার সাথে মাসুদের পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একসময় প্রেমের সম্পর্ক গড়িয়ে বিবাহবন্ধনের রুপ নেয়।মাসুম শাহীমাকে বিয়ে করে ৪ বছর আগে ও সংসার শুরু করে ও মাসুদের গ্রামের বাড়িতে বসবাস করে আসছিলো। ইতিমধ্যে শাহীমার বড় বোন বদলি হয়ে শ্রীমঙ্গল সুরভিপাড়ায় বাসা নিয়ে বসবাস করছিল। এর মধ্যে গত শনিবার ২৭শে মার্চ মাসুম শাহীমাকে নিয়ে শ্রীমঙ্গল শহরতলীর সুরভীপাড়ায় বড় বোন হালিমার বাসায় বেড়াতে আসে। ৩১ মার্চ মাসুম ও শাহীমার মধ্যে বাকবিতন্ডায় জরিয়ে পড়ে মাসুম উত্তেজিত হয়ে একপর্যায়ে বাসা হতে বেড়িয়ে পড়ে এবং মিরপুর কোন এক আত্মীয় বাড়িতে থাকে।পরদিন ভোরে মাসুম পুনরায় হালিমার বাসায় আসে। শুক্রবার রাতে শাহীমার সাথে মাসুমের  কথাকাটি হয়। মাসুম রাতেই শাহীমাকে নিয়ে তার বাড়িতে চলে যেতে চাইলে শাহীমা ও তার বড় বোন হালিমা বলে রাতে না গিয়ে পরদিন ভোরে যাওয়ার জন্য। কিন্ত পাষন্ড স্বামী মাসুম ১লা এপ্রিল রাত আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় শাহীমাকে মাংস কাটা কাজে ব্যবহৃত ছুড়ি দিয়ে শাহীমার বুকে ও হাতে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই শাহীমা মাটিতে লুটে পড়ে ও মৃত্যু হয়।

ঘাতক স্বামী

শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (অপারেশন)  নয়ন কারকুন, রাতেই খবর পেয়ে এএসআই সারোয়ার সহ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে সুরতহাল তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরন করা হয়।

নিহত শাহীমা আক্তারের পাষন্ড স্বামী মাসুম পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সে সময় শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ আটক করে। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। আইনানুসারে তাঁর শাস্তি হবে বলে নিশ্চিত করেন অফিসার ইনচার্জ (অপারেশন) নয়ন কারকুন।

 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *