তিমির বনিক, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ মৌলবীবাজার শ্রীমঙ্গল ভূমি অফিসে দূর্নীতির কারনে জমিজমা মিউটেশন (নামজারী) নানা অজুহাতে বাতিল করা হয়েছে প্রায় সব নামজারি আবেদন। এতে ভোগান্তির শিকার উপজেলার সেবা গ্রহীতারা।

জানাযায়,গত ৬ জুন উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে আবেদনকৃত নামজারি হঠাৎ করে মোবাইলে বার্তা পাঠিয়ে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

একজন ভোক্তভোগী শহরের সিন্দুরখাঁন রোড়ের বাসিন্দা আমির মাজি বলেন, ‘আমার সব কাগজপত্র ঠিক থাকার পরেও আমার নামজারি ৬ জুন বাতিল করা হয়। এর পূর্বে আরও দু’বার কোনো কারণ ছাড়াই বাতিল করা হয়েছে। আমার নামজারি বাতিলের বিষয়ে জানতে চাইলে কানুনগো জানান ১০/১২ দিন আপনি যোগাযোগ না করায় আপনার আবেদন বাতিল হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজ ৯ মাস ধরে আমাকে কর্তৃপক্ষ নামজারির জন্যে ঘুরাচ্ছে।’

উপজেলার বিষামণি এলাকার বাসিন্দা ইউনুস মিয়া বলেন, ‘চলতি মাসের ৬ জুন হঠাৎ করে কোনো কারণ ছাড়াই আমার নামজারির করা আবেদন মোবাইলে মেসেজ দিয়ে বাতিল বলে জানানো হয়।’

এ নিয়ে উপজেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ। কয়েকজন আবেদনকারী জানান, একেকটি ই-নামজারী আবেদন দাখিল করতে তাদের খরচ হয় হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা। তারপর তো আছে আরো খরচ। এতো টাকা খরচ করার করার পর নামজারী আবেদন বাতিল হওয়ায় নানা ভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হতে হচ্ছে আবেদনকারীরা। তারা বলেন, ‘সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এবং তহশিলদার ও সার্ভেয়ারের রিপোর্ট সঠিক থাকলেও সহকারী কমিশনার ভূমি কাগজপত্র যাচাই করে সরকারী ফি আদায় সাপেক্ষ নতুন খতিয়ান খোলার অনুমোদন দেওয়ার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে ঘটছে তার বিপরীত।

এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা ভূমি অফিস সহকারী কমিশনার ভূমি নেছার উদ্দিন বলেন, ‘আমরা সর্বাত্তোক মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। লক ডাউনের কারণে আবেদন করা কিছু আবেদন পিছিয়ে পড়েছে। এগুলো আমরা দ্রুত সমাধান করে দেয়ার চেষ্টা করছি। যেসব নামজারি বাতিল হয়েছে সেসব জমির কাগজপত্র,দাগ নাম্বার ভূল থাকায় বাতিল হলেছে। আমরা সেগুলো সংশোধন করার মাধ্যেমে নামজারি করে দিচ্ছি।

অন্য আরেক প্রশ্ন রেখেছিলাম ভুমি অফিসার এর নিকট মোঃ নেছার উদ্দিন কে, আপনার অফিসের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন রকম ভাবে হুমকি প্রদর্শন করে রাত সাড়ে ৮ ঘটিকা অব্দি অফিস করিয়ে নিচ্ছেন তাও মহিলা কর্মকর্তাদের সহ, তাদের বাসা বাড়িতে এর রাতে যাওয়ার সেইফটির কথা মাথা রাখাটাও আপনার ভাবনার বিষয়, ওনি উত্তরে বলে উঠেন এ অভিযোগ আপনাদের কে দিয়েছে, নাম না বলা শর্তে কর্মকর্তারা এমন অভিযোগ তুলেন নয়তো অন্যর্থ বদলি করে বড়লেখা, কুলাউড়ায় দেয়া হবে বলে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। সরকারের স্বার্থে নাকি এমন অমানবিকতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে ভূমি অফিসারের এমন এক ঘেয়েমিপনা।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *